নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: জেলায় জেলায় এখনও বহু বুথে কোনও কমিটি গড়ে ওঠেনি বিজেপির (BJP)। বাস্তবে অস্তিত্ব নেই, অথচ কাগজ-কলমে ‘ফলস’ কমিটি বানিয়ে সদস্যদের তালিকা বড় করে অনেক ক্ষেত্রে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে ‘বাহবা’ আদায় করা হচ্ছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্য়বেক্ষক সুনীল বনশল (Sunil Bansal)। শিলিগুড়িতে দলীয় বৈঠকে এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি দেখেন বনশল। এদিনই দুপুরে রায়গঞ্জ ইনস্টিটিউট মঞ্চে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের নেতৃত্বকে নিয়ে বিশেষ সাংগঠনিক সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দলের পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ এবং রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। সেখানেই বুথ কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বনশল বলেন, “বহু ক্ষেত্রে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে দল বুথস্তর পর্যন্ত শক্তিশালী বলে দেখানো হচ্ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে নদিয়ায় মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ মুকুলের, নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের জল্পনা]
যোগ্য দলীয় সদস্য দিয়ে প্রতিটি বুথ মজবুত না করলে শুধু পঞ্চায়েত ভোট নয়, লোকসভাতেও ভাল ফল মিলবে না বলে যথেষ্ট আক্ষেপ প্রকাশ করেন সুনীল বনশল ও রাজ্য নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত দুই জেলার নেতৃত্বের অনেকে জানিয়েছেন, প্রতিটি বুথ কমিটির সদস্যদের এবার থেকে সরাসরি ফোন করে বুথের প্রকৃত অস্তিত্ব জানা হবে। শুধু শুধু কাগজ কলমে বুথ কমিটি রেখে বাস্তবে কোনও কর্মসূচি দেখা যাবে, এসব আর বরদাস্ত করা হবে না। বুথ থেকে মণ্ডল স্তরের প্রতিটি কমিটির নিজস্ব শক্তি প্রকাশ করতে এলাকাভিত্তিক ইস্যু নিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করার নির্দেশ দেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক।
এদিনের বৈঠকে হাজির কার্যকর্তার উদ্দেশে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘রাজ্য আর কেন্দ্রের ভরসায় সবসময় না থেকে জেলায় মানুষজনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পৃথক কর্মসূচি চূড়ান্ত করে আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধাগুলো সাধারণ মানুষজনদের কাছে নিয়মিত তুলে ধরার পাশাপাশি যোগ্য অথচ দলের বাইরে রয়ে গিয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের কাছে টেনে আনার বার্তা দেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক।