সুকুমার সরকার, ঢাকা: গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল সাধারণ নির্বাচন। যা বয়কট করেছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। খালেদা জিয়ার দলের দাবি ছিল, ভারতের সমর্থন ও অঙ্গুলিহেলনেই ভোট করাচ্ছে হাসিনা সরকার। এইবারের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরেছে আওয়ামি লিগ। ভোটপ্রক্রিয়ার পর কেটে গিয়েছে ৩ মাস। কিন্তু স্বভাবতই ভারতের বিরোধিতা করে চলেছে খালেদা জিয়ার দল। এবার দেশজুড়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে আন্দোলনের পথে হাঁটছেন দলের নেতা-কর্মীরা।
বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি ভারতীয় পণ্য বর্জনের সমর্থনে বক্তব্য দেন। তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “আওয়ামি লিগ ভারতের সহযোগিতায় নির্বাচনের নামে তামাশা করেছে। এটা বুঝতে পেরে বাংলাদেশের জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জন করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ভারতীয় পণ্য বর্জনকে আমরা যৌক্তিক মনে করি।” লিখিত বক্তব্যে রিজভি আরও বলেন, “দেশের জনগণের নয়, ভারতের সমর্থনে আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় টিকে আছে। তাদের ক্ষমতায় থাকতে তলেতলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভারত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে নয়, আওয়ামি লিগের পক্ষে। ভোটাধিকার হরণ, গণতন্ত্র হত্যা, গুম খুন ও অবিচারের জন্য ভারত দায়ী বলে জনগণ মনে করে। জনগণ তাঁদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে ভারতীয় পণ্য বর্জন করে।”
[আরও পড়ুন: ৩৩ বছরের জীবনে ১৪ বছরই জেলে, শেষে ডাকাত সন্দেহে গণধোলাইতে মৃত্যু যুবকের]
বলে রাখা ভালো, নির্বাচনের সময় বিএনপির অভিযোগ ছিল, “বাংলাদেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ভারত। পশ্চিমা বিশ্বের চাপ ও বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোর দাবিকে উপেক্ষা করে দেশটি যে অবস্থান নিয়েছে তা ভুল।” বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মইন খান বলেছিলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন স্পষ্টতই বাধাগ্রস্ত করছে ‘বন্ধু’রাষ্ট্র ভারত। সেসময়ও রিজভির অভিযোগ ছিল, “ভারতের একতরফা সমর্থনের কারণে আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার, যা তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল।” কিন্তু বিরোধীদের কোনও অভিযোগই ধোপে টেকেনি। বিপুল জনসমর্থন পেয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন শেখ হাসিনা।