সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টা তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শনিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। দ্রুত ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয় বিএনপি (BNP) নেত্রীকে। দ্রুত ১২ জনের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে অ্যাঞ্জিওগ্রাম করানো হয় খালেদা জিয়ার। তাঁর হার্টে রিং পরানো হয়েছে। আপাতত তিনি সুস্থ রয়েছেন। তবে আগামী তিনদিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
রবিবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এম জাহিদ হোসেন তাঁর শারীরিক অবস্থার হাল হকিকত জানিয়েছেন। তিনি জানান, ‘‘ম্যাডাম এই মুহূর্তে সিসিইউতে (CCU) আছেন। মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে অবজারভেশনে রেখেছে। তাঁর হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে, মেন আর্টারিতে ৯৯ শতাংশ ব্লক থাকায় অ্যাঞ্জিওগ্রাম করে রিং পরানো হয়েছে। অবজারভেশনের পর পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে মেডিক্যাল বোর্ড।’’
[আরও পড়ুন: রেণু কাণ্ডের ছায়া শক্তিগড়ে, এবার নার্স স্ত্রীকে মারধর করে ঘরছাড়া করল স্বামী!]
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যা-সহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন খালেদা জিয়া। তবে কাউকে কিছু জানাননি। শনিবার দুপুরে আচমকা তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তড়িঘড়ি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভরতি করে অ্যাঞ্জিওগ্রামের (Angiogram) সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। তারপর থেকে তিনি রয়েছেন চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে। জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন জানান, তাঁর বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন। তবে প্রশাসনিক বাধায় তিনি যেতে পারছেন না।