সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার বিশেষ ভিসা নীতিকে হাতিয়ার করতে চলেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আগামী জুন মাস থেকে একগুচ্ছ প্রতিবাদী কর্মসূচী নিয়েছে খালেদা জিয়ার দল বলে খবর।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনে তরুণদের পাশে চাইছে দল। প্রধানত, ২০০৮ সালের পরে যাঁরা ভোটার হয়েছেন, কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁরা ভোট দিতে পারেননি, সেই তরুণদের প্রতিবাদী কর্মসূচীতে শামিল করতে চাইছে বিএনপি। তাঁদের উদ্বুদ্ধ করতে তারুণ্যের সমাবেশ করার কথা ভাবছে দল।
নির্বাচনে কারচুপি ও হিংসার অভিযোগে বিদ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে ভোটে বিরোধীদের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগও রয়েছে। সেই বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খোলে আমেরিকা। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ওয়াশিংটনের কড়া হুমকি, হিংসায় অভিযুক্তদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ’, চিনকে দরাজ সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার]
বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশকে ঘিরে সারা দেশে যে রকম রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি হয়েছিল, মার্কিন ভিসা নীতির প্রেক্ষাপটে নতুন করে তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে কারচুপি ও হিংসার অভিযোগে বিদ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে ভোটে বিরোধীদের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগও রয়েছে। সেই বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খোলে আমেরিকা। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ওয়াশিংটনের কড়া হুমকি, হিংসায় অভিযুক্তদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আগেও সরব হয়েছে আমেরিকা (America)। গত বুধবার মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য একটি ভিসা-নীতি ঘোষণা করেছেন, যা নিয়ে ঢাকায় জল্পনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। ব্লিঙ্কেন বলেন, “নতুন ভিসা নীতিতে বাংলাদেশের সরকার বা বিরোধী পক্ষের যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কারচুপি, হিংসা বা আতঙ্ক ছড়িয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ থাকবে, তাঁকে ও তাঁর পরিবারের কাউকে আমেরিকার ভিসা দেওয়া হবে না। রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, সরকারি কর্মচারী, আমলা বা পুলিশ অফিসাররাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।”