তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: নাবালকের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল শহর শিলিগুড়িতে। ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত মৃতদেহ। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সারদাপল্লিতে।
জানা গিয়েছে, প্রায় দশ বছরের ওই নাবালক এদিন তাঁর ঠাকুমা ও ঠাকুরদাদার সঙ্গে বাড়িতেই ছিল। মঙ্গলবার স্কুলে পরীক্ষা থাকায় এদিন তাঁর স্কুল ছুটি ছিল। তাঁর বাবা ও মা দুজনেই সরকারি কর্মী। বাবা সেচদপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত। সকালে বাবা-মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বাড়িতেই ঠাকুমা-ঠাকুরদাদার সঙ্গে ছিল সে। বাড়িতে একজন পরিচারিকাও ছিলেন। নাবালক বাবা-মা বেরিয়ে যাওয়ার পর বেশকিছুক্ষণ নিচতলায় খেলায় মত্ত ছিল। পরে কোনও ফাঁকে দোতলায় চলে যায় সে। বাড়ির একটি মোবাইল ফোন ছিল তাঁর সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় কাটা পড়েছে পা, ছাত্রীকে হাসপাতালে দেখে চোখে জল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
প্রায় দুপুর একটা নাগাদ খাবার খাওয়ার জন্য ঠাকুরদাদা দোতলায় নাবালককে ডাকতে গিয়ে দেখেন ঘরের জানালা থেকে একটি দড়ি দিয়ে ওই নাবালকের দেহ ঝুলছে। ঠাকুরদাদা ও ঠাকুমা দু’জনেই কোনমতে ওই নাবালকের দেহ নামিয়ে প্রতিবেশীদের সাহায্যে প্রথমে শিলিগুড়ি হাসপাতাল ও পরে একটি নার্সিংহোমে দেহ নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। দেহ নিয়ে বাড়িতে ফেরেন পরিবারের লোকেরা। খবর দেওয়া হয় আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এলাকায় খবর নিয়ে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীদের কাছে খুবই প্রিয় ছিল ওই নাবালক। সকলে তাঁকে অত্যন্ত পছন্দ করত। সেই কারণে এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া পড়েছে। খবর পেয়ে এলাকাবাসীরা বাড়ির সামনে ভিড় জমান। সকলে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, কোনওভাবে মোবাইলের কিছু ভিডিও দেখে সেগুলো বাস্তাবে করার চেষ্টা করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত এমনটা ঘটে থাকতে পারে। যদিও ঘটনার তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসিপি শুভেন্দ্র কুমার বলেন, “একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”