অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: দম্পতির রহস্য মৃত্যু। একই বাড়ির পৃথক দুটি ঘর থেকে উদ্ধার স্বামী ও স্ত্রীর দেহ। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের (Domkol) পুরাতন বিডিও মোড় এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সুনীল কুণ্ডু। তাঁর স্ত্রী আন্না হালদার। দু’জনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। সুনীল কুণ্ডু পেশায় ডোমকল ব্লকের খাদ্য দপ্তরের অস্থায়ী কর্মী। আন্না ছিলেন অঙ্গনওয়াড়ির প্রধান সহায়িকা। বছর দেড়েক আগে আন্না হালদারের প্রথম স্বামী মারা যায়। তার ছ’মাস পরে সুনীলের সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিয়ে হয় তাঁর। আন্নার প্রথম পক্ষের বউমা রাখী বিশ্বাস জানান “বিয়ের পর থেকেই শাশুড়িমা ও শ্বশুরমশাই পুরাতন বিডিও মোড়ের ওই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।” তিনিই বলেন, “মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফোনে ওদের পাওয়া যাচ্ছিল না। ভেবেছিলাম কাজে আছে। সেখান থেকে ফিরে ফোন করবে। কিন্তু রাত পর্যন্ত ফোন করেনি। আমরা আবার ফোন করলে রিং হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু কেউ ধরছিলেন না।”
[আরও পড়ুন: কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে প্রয়াত সংগীতশিল্পী কেকে]
ওই অবস্থায় বাড়ির লোকেদের সন্দেহ হয় ও তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করেন। মৃতের দিদি চায়না হালদার জানান “ দিদির ছেলের বউ আমাকে জানালে রাতেই ভাড়া বাড়ির সামনে আসি। দেখি ভাড়া বাড়ির দরজা ভিতর থেকে তালা দেওয়া। এরপর থানায় জানানো হয়।” খবর পেয়ে ডোমকলের আইসি জ্যোতির্ময় বাগচি বিশাল পুলিশ বাহীনি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। স্থানীয়রা জানান, পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায়, এক ঘরে বিছানায় পড়ে আন্না। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও রক্তে বিছানা ভেসে যাচ্ছে। অন্যঘরে সুনীল। তাঁর দেহের পাশে কীটনাশকের শিশি। এরপরই দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বলেন, “দু’জনের মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝামেলা হতে দেখেছি। সেটা তাদের দাম্পত্য কলহ ভেবে আমল দিতাম না। কিন্তু তার পরিণতি যে এতটা ভয়ংকর হবে বুঝতে পারিনি।” জানা গিয়েছে, সুনীল কুণ্ডুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ের পর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্ত্রীকে খুনের পর আত্মহত্যা করেছেন সুনীল। কিন্তু কেন? কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।