শংকরকুমার, রায়গঞ্জ: একরত্তিকে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর ছেড়েছিলেন বধূ। কিন্তু সংসার করা হল না। কয়েকঘণ্টা পরই এক বাড়ি থেকে উদ্ধার যুগলের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের মধুপুরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূর নাম মাম্পি শিকদার (২০)। রায়গঞ্জের ভক্তিয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বছর তিনেক আগে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বাপি গায়েনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ওই দম্পতির একটি ১৬ মাসের কন্যাসন্তান রয়েছে। বর্তমানে বাপি কর্মসূত্রে দুবাইয়ে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, স্বামীর অনুপস্থিতিতে গ্রামেরই বাসিন্দা শেখর মণ্ডলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে মাম্পির। বিষয়টা বেশিদিন চাপা থাকেনি। তাঁদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে চলে আসে। এসবের মাঝে শনিবার আচমকা বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান মাম্পি ও শেখর। এলাকায় খোঁজ নিয়েও তাঁদের হদিশ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয় দুই পরিবারের তরফে।
[আরও পড়ুন: সব পথ মিশছে বিজেপিতে, কী করবেন বহরমপুরের ‘রবিনহুড’ অধীর?]
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, মধুপুরের ওই বাড়িটির মালিক রঞ্জিত দাস।কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই ওই বাড়ি বন্ধ করে শিলিগুড়িতে থাকেন তিনি। সেখানেই মেলে যুগলের দেহ। স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু বর্মনের দাবি, রবিবার সকালে বন্ধ বাড়ি থেকে পচা গন্ধ মেলে। তার পর পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, "দুজনই আত্মহত্যা করেছে, না কি একজনকে খুন করে অন্যজন আত্মঘাতী হয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।" এদিকে ডালখোলা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সদস্য মনীন্দ্র বিশ্বাসের দাবি, গত শনিবার সন্ধে থেকে শেখর আর মাপ্পির খোঁজ মিলছিল না। ডালখোলা থানাতেও নিখোঁজের অভিযোগ জানানো হয়। দু'জনের মধ্যে পাকাপাকিভাবে বিয়ের কথাও চলছিল।"