দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: দীর্ঘক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর পুকুর থেকে উদ্ধার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির জালাবেরিয়া গ্রামের চাঁদপুরের বাসিন্দা নিহত ছাত্র। তাঁর নাম হাসান গাজি। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিল হাসান। এরপর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে এলাকায় খোঁজ নেন তাঁরা। হাসানের বন্ধুবান্ধবের থেকেও জানতে চান। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। এভাবেই দুশ্চিন্তার মাঝে রাত কাটে।
[আরও পড়ুন: মানবতাই ধর্ম! রোজার মাসে মাথা মুড়িয়ে হিন্দু ‘বাবা’র শ্রাদ্ধানুষ্ঠান মুসলিম ‘ছেলে’র]
বুধবার সকালে চাঁদপুজ গাজিপাড়ায় একটি জলাশয়ে দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র কের স্বাভাবিকভাবেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এলাকাবাসীরা ভিড় করেন। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করতেই দেখা যায়, দেহটি হাসানের। জানা গিয়েছে, পড়ুয়ার শরীরে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। মনে করা হচ্ছে, খুন করে ওই জলাশয়ে ফেলে যাওয়া হয়েছে দেহ।
ইতিমধ্যেই পুলিশ পড়ুয়ার দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তবে কী কারণে এই কিশোরকে খুন করা হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কারও কোনও অশান্তি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুতই গোটা বিষয়টা সামনে আসবে বলে মনে দাবি পুলিশের।