দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: প্রায় ১৫ ঘন্টা পর কোভিডে (COVID-19) মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকারের ব্যবস্থা হল। সংক্রমণের ভয়ে সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ মৃতের ছেলের। পরে অবশ্য পুলিশের তৎপরতা ও পুরসভার সহায়তায় মৃতদেহ উদ্ধার করে, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে গাড়িতে তোলা হয়। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 parganas) রাজপুর-সোনারপুর এলাকার।
দিলীপ কুমার রায় নামে বছর পঁয়ষট্টির এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতেই মারা যান। জানা গিয়েছে, জ্বর, সর্দি,কাশি-সহ কোভিডের একাধিক উপসর্গজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন গত শনিবার থেকে। এরপর পরীক্ষা করে দেখা যায়, কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। কিন্তু বাড়িতেই রেখে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে দেহটি সৎকারের ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানালেও তা গ্রাহ্য করা হয়নি বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: সংকটকালে বাংলা থেকে অন্য রাজ্যে অক্সিজেন রপ্তানি নয়, আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের]
বাড়ি থেকে করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ উদ্ধারে প্রায় রাত গড়িয়ে যায়। এমনই অভিযোগ তাঁর ছেলে অমিত রায়ের। এ বিষয়ে অমিতবাবু বলেন, ”আমরা বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করেছি, বাড়িতে দেহ পড়ে আছে। সেই দেহ তোলার জন্য প্রথমদিকে কারও কোনও সাহায্য পাইনি। পরে অবশ্য পুলিশ এবং পুরসভা যৌথভাবে সেই দেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।”
কোভিড আক্রান্ত দেহ তোলার জন্য সমস্ত প্রোটোকল বজায় রাখতে হয় এবং তার জন্য সরকারের যেসব গাড়ি আছে, সেই গাড়িতে করেই শুধুমাত্র দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তা ক্যানিং শ্মশানে পৌঁছনো হয়। এই শ্মশানে শুধুমাত্র করোনায় আক্রান্ত মৃতের সৎকার করা হয়। এ বিষয়ে রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ডক্টর পল্লবকান্তি দাস বলেন, ”ঘটনাটা জানানোর পরে আমি সঙ্গে সঙ্গে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করে দিই। থানাকেও জানানো হয়েছে সময়মতো। কিন্তু দেহ উদ্ধার করতে সময় লাগছে কারণ, গাড়ির সমস্যা আছে।”