ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বোলপুর আদালতের (Bolpur Court) এককর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্মীদের বিরুদ্ধে। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। একজন পলাতক। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বোলপুরের কাছারিপট্টির বাসিন্দা জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স ৩৮ বছর। বোলপুর মহকুমা আদালতের কর্মী ছিলেন তিনি৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়দীপ অত্যাধিক নেশা করতেন। কর্মরত অবস্থাতেও নেশা করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ফলে সাসপেন্ড করা হয়। তারপরই পরিবারের তরফে শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত উত্তরনারায়ণপুর এলাকায় একটি বেসরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভরতি করা হয় জয়দীপকে। ৬ মাসের জন্য জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভরতি নেয় ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র। প্রতি মাসে চিকিৎসার জন্য ৬ হাজার টাকা খরচ ছিল।
[আরও পড়ুন: হোটেলের ঘরে তরুণীর রহস্যমৃত্যু, অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার ঠাকুমা, চাঞ্চল্য ডায়মন্ড হারবারে]
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভরতি থাকাকালীন জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হত না৷ স্ত্রী মালবিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁকে একবার দেখা করতে দেওয়া হয়েছিল স্বামীর সঙ্গে। সেই সময় তাঁর স্বামী তাঁকে জানিয়েছিলেন, তাঁকে মারধর করা হয় ও পর্যাপ্ত খেতে দেওয়া হয় না৷ ১৩ই এপ্রিল রাতে জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করে নেশামুক্তি কেন্দ্রের লোকজন৷ সেখানেই পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে জয়দীপকে৷ এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী মালবিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। নিহতের ভাই সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নেশা ছাড়ানোর জন্য প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা করে নিত নেশামুক্তি কেন্দ্রটি। কিন্তু চিকিৎসার নামে সেখানে মারধর করা হত। দেখা করতে দেওয়া হত না আমাদের সঙ্গে৷ আমার দাদাকে পিটিয়ে মেরে দিয়েছে ওরা।” এদিকে এই ঘটনার পরে নেশামুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় বেশ কিছু মানুষ সেখানে রয়েছেন। তবে যারা এই কেন্দ্র চালাতেন, তারা কেউ নেই।