সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের (Israel-Palestine) মধ্যে ১১ দিনের যুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু তার রেশ আছড়ে পড়ল পাকিস্তানে (Pakistan)। প্যালেস্তাইনের সমর্থনে বেরনো মিছিলে বোমা হামলায় প্রাণ হারালেন অন্তত ৭ জন। আহত প্রায় ২০। দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের চমন প্রদেশে একটি মোটরবাইকে বোমা বাঁধা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ অফিসার মহম্মদ ইকবাল জানিয়েছেন, স্থানীয় এক ধর্মীয়-রাজনৈতিক দলের তরফে প্যালেস্তাইনের সমর্থনে মিছিল বের করেছিল। সেসময় বিস্ফোরণ ঘটে। জমায়েত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পুলিশ অফিসার ইকবালই জানিয়েছেন, মিছিলের যাত্রাপথের কাছে এক মোটরসাইকেলে বোমা (bomb) বাঁধা ছিল। তা ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় অন্তত ৭ জনের। এঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তাঁদের কোয়েটার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, চমন (Chaman) প্রদেশের ধর্মীয় সংগঠন নাজরিয়াতি এই মিছিলের আয়োজন করেছিল। গাজায় ইজরায়েলের হামলা, প্যালেস্তিনীয়দের মৃত্যুর প্রতিবাদে এই মিছিল। তা শেষ হওয়ার মুখেই বিস্ফোরণ ঘটে। সংগঠনের প্রধান আবদুল কাদের লোনি জানাচ্ছেন, তিনি সারাক্ষণ মিছিলে ছিলেন। মিছিল থেকে বেরিয়ে যেতেই বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পান। অল্পের জন্য তিনি নিজে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বলে দাবি। লোনির দাবি, একটি মোটরসাইকেল মিছিলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। সম্ভবত তাতেই বোমা বাঁধা ছিল, যাতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
[আরও পড়ুন: মার্কিন সেনা সরতেই থাবা তালিবানের, জেহাদিদের দখলে আফগানিস্থানের দুই জেলা]
গত ১১ দিনের ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত আড়াইশোর কাছাকাছি প্যালেস্তিনীয়ের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলের তরফে মৃতের সংখ্যা ১২। মুহুর্মুহু রকেট, বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু বিতর্কিত গাজা (Gaza) স্ট্রিপ রক্তাক্ত। প্রাথমিক হিসাবে জানা গিয়েছে, সবকিছু মিলিয়ে গত ১১ দিনে প্যালেস্তাইনের ক্ষতি আনুমানিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বিধ্বস্ত দেশের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোও। ইজরায়েলি বোমায় সবুজ কৃষিক্ষেত্র এখন ধূসর। গাজা শহরকে নতুন করে গড়ে তুলতে আরও দেড় থেকে দু’মাস সময় লাগবে বলে মনে করছেন সেখানকার এক মন্ত্রী। এসবের প্রতিবাদেই দক্ষিণ পশ্চিম পাকিস্তানের চমন প্রদেশে মিছিল চলছিল। কে বা কারা সেখানে প্রাণঘাতী হামলা চালাল, তা এখনও অজানা।