সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে দু’টি যৌন নির্যাতনের (Sexual crime) মামলায় তাঁর রায় নিয়ে বিতর্ক দেখা গিয়েছিল দেশজুড়ে। এবার বম্বে হাই কোর্টের (Bombay High Court) সেই অতিরিক্ত বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালার মেয়াদ নতুন করে মাত্র এক বছরের জন্য বাড়ানো হল। শুক্রবারই তাঁর দু’বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আজ, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে নতুন মেয়াদ। প্রসঙ্গত, সাধারণভাবে অতিরিক্ত বিচারপতিদের মেয়াদ দু’বছরের জন্য বাড়ানো হয়। কিন্তু পুষ্পার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এক বছরের জন্য। তাঁর রায় ঘিরে শুরু হওয়া বিতর্কের জেরেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম কেন্দ্রীয় সরকারকে যে সুপারিশ করেছিল তা খারিজ করে দু’বছরের জায়গায় মাত্র এক বছরের জন্য মেয়াদবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আগেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল, গানেদিওয়ালাকে নিয়ে ‘আপত্তি’ প্রবীণ দুই বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এএম খান উইলকরের। প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠনও। একটি যৌন নিগ্রহের মামলায় পুষ্পা গানেদিওয়ালা জানিয়েছিলেন, পোশাকের উপর নাবালিকার স্তনে হাত দিলে পকসো আইনের আওতায় তা যৌননিগ্রহ হিসেবে গ্রাহ্য হবে না। যৌনতামূলক কার্যকলাপের অভিপ্রায়ে ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ হলে, তবেই তা যৌন নিগ্রহ হিসেবে প্রমাণিত হবে। পরে সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার ছায়া রোহতকে, কুস্তির আখড়ায় ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি বন্দুকবাজের, মৃত ৫]
এই রায়ের পরই দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। বুধবার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। তাঁর বক্তব্য, এই রায় খুবই নেতিবাচক। ভবিষ্যতে এটি ভয়াবহ উদাহরণ হয়ে থাকবে। ‘ত্বকস্পর্শ’ রায় নিয়ে সেই বিতর্কের মধ্যেই শিশুদের উপরে হওয়া যৌন নির্যাতন নিয়ে তাঁর আরেক মন্তব্য ঘিরেও বিতর্ক ঘনিয়ে ওঠে। অন্য একটি মামলায় তিনি বলেন, কোনও নাবালিকার হাত ধরা কিংবা প্যান্টের চেন খোলা পকসো আইনে যৌন নির্যাতন নয়। তবে তা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা অনুযায়ী অবশ্যই যৌন অপরাধ।