সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবাঞ্ছিত গর্ভ কখন কী কারণে শেষ করতে চান নারীরা, সে স্বাধীনতা তাঁদের হাতেই থাকা উচিত৷ এমনটাই মত পোষণ করল বম্বে হাই কোর্ট৷
গর্ভপাত আইনের ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করার পক্ষেই মত দিল বিচারপতি ভি কে তাহিলরামানি ও মৃদুলা ভাটকরের ডিভিশন বেঞ্চ৷ এর আগে আদালতের নির্দেশ ছিল, ১২ সপ্তাহের গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মহিলারা৷ গর্ভাবস্থা যদি ১২-২০ সপ্তাহের হয় তবে দু’জন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রসূতির শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে৷ আদালতের মত, এই আইনের পরিধি বিবাহিত মহিলাদের বাইরেও যাঁরা লিভ-ইন রিলেশনশিপে আছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হওয়া উচিত৷ শুধু শারীরিকভাবে নয়, গর্ভাবস্থাকে মানসিক দিক থেকেও ভেবে দেখা জরুরি৷ শরীরের পাশাপাশি মনেও এর গভীর প্রভাব থাকে৷ তাই একজন নারী গর্ভাবস্থা ঠিক কোন কারণে শেষ করতে চান, সে স্বাধীনতা তাঁর হাতে থাকাই উচিত বলে মনে করেন তিনি৷ আদালতের মতে, কোনও নারীকে গর্ভপাতের অনুমতি না দেওয়ার অর্থ তাঁর মানসিক ক্ষতকে আরও বাড়িয়ে দেওয়া৷ নারীর স্বাভাবিক অধিকার হিসেবেই এই বিষয়টিকে বিবেচনা করছে আদালত৷ নারীর শরীরে অধিকার তাঁদের নিজস্ব৷ ফলে গর্ভধারণ যেমন নারীর ইচ্ছাকৃত, তেমনই গর্ভপাতও তাঁদের ইচ্ছে অনুযায়ী হওয়া উচিত বলেই মত আদালতের৷
The post গর্ভপাতের স্বাধীনতা নারীদের হাতে দিতে চায় আদালত appeared first on Sangbad Pratidin.