অর্ণব দাস, বারাসত: ৩১২ বছর আগে শুরু হয়েছিল পুজো। পুরনো রীতি মেনে আজও গোবরডাঙা রাজবাড়িতে পূজিতা হন দেবীদুর্গা। জোরকদমে শুরু চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
১৭১১ সালে গোবরডাঙার জমিদার বাড়িতে দুর্গাপুজো(Bonedi Barir Durga Puja 2023) শুরু করছিলেন খেলারাম মুখোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই জাঁকজমকপূর্ণ ছিল এই পুজো। জমিদারবাড়ির লাগোয়া প্রসন্নময়ী কালীমন্দিরে প্রতিপদ থেকেই শুরু হত ঘটপুজো। আর দুর্গা দালানে থাকত দেবীমূর্তি। একসময় ষষ্ঠীতে বাড়ির উঠোনে কামানের তোপ ধ্বনিতে হত দেবী দুর্গার আহ্বান। সপ্তমীর সকালে ঘট নিয়ে আসা হত দুর্গা দালানে। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জমিদার বাড়িতে বলি দেওয়া হত ১৪টা পাঠা, ২টো ভেড়া, আখ এবং চালকুমড়ো। বিসর্জনের দিন জমিদারবাড়ির উঠোনে সার ঢাক বাজাতো ঢাকির দল। পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী সিঁদুর খেলা শেষে জমিদারবাড়ির ঝিলেই দেবীর নিরঞ্জন করা হতো।
[আরও পড়ুন: ‘১০০ দিনের কাজের টাকা মেটান’, ত্রাণশিবিরে রাজ্যপালকে ঘিরে দাবি উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্তদের]
সময়ের সঙ্গে জৌলুস খানিকটা কমেছে। তবে আজও গোবরডাঙা রাজবাড়ির পুজোর রীতিতে ছেদ পড়েনি। এবিষয়ে গোবরডাঙ্গার জমিদার বংশের অষ্টম বংশধর অঞ্জনপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, “মাঝে দুবছর করোনার কারণে মূর্তি পুজো হয়নি। তবে এখন আবার নিয়ম মেনেই চলছে পুজো। দুর্গা দালানে মায়ের মূর্তি তৈরির কাজ চলছে। বংশের নিয়ম অনুযায়ী মহালয়ার দিনে খড়ি রং দেওয়া হবে মায়ের গায়ে।” রাজবাড়ির পুজো নিয়ে শুধু পরিবারের সদস্যরাই নন, মেতে ওঠেন এলাকাবাসীরাও।