সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় দালানে রাখা প্রতিমার খড়ের অবয়ব। সবে লেগেছে মাটির প্রলেপ। আর তাতেই স্পষ্ট দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। শহরের অন্যান্য বনেদি বাড়ির মতো দর্জিপাড়ার মিত্রবাড়ির (Bonedi Barir Durga Puja) ছবিও প্রায় একইরকম। তবে ২১৮ বছরের পুরনো এই পুজো আজও নিয়মের দিক দিয়েই হয়ে রয়েছে ব্যতিক্রমী।
রথের দিনে কাঠামো পুজো হয়। তার পর থেকে বাড়িতে শুরু হয় দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ। পুরনো সংরক্ষিত ছাঁচে আজও নতুন প্রতিমা তৈরি হয়। কুমোরটুলি থেকে আসে ডাকের সাজ।
প্রতিপদে বোধন। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত এই বাড়িতে হয় কুমারী পুজো। অষ্টমীতে সন্ধিপুজোর সঙ্গে হয় কল্যাণী পুজো। সাধারণত ১০৮টি পদ্ম সন্ধিপুজোয় ব্যবহৃত হয়। তবে দর্জিপাড়ার মিত্রবাড়িতে ১০৮টি অপরাজিতা ফুল দিয়ে হয় পুজো। নবমীতে হোম এবং প্রদক্ষিণ। দশমীতে কনকাঞ্জলি দিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। এখনও ধুতি পরে, ছড়ি হাতে দেবীকে কাঁধে করে নিরঞ্জন করতে যান পরিবারের পুরুষ সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: অপেক্ষায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, শর্ত চাপিয়ে বৈঠক এড়ালেন জুনিয়র ডাক্তাররা, মুখ্যসচিব বললেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক’]
প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় আগে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর রীতি ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই রীতি আজ অবলুপ্ত। প্রতিমা বিসর্জনের পর মা দুর্গার আসনে বসেন বাড়ির মহিলারা। তাঁদের প্রার্থনা, এভাবেই সঞ্চারিত হোক শক্তি।
এই বনেদি বাড়িতে ভোগের ক্ষেত্রেও রয়েছে বৈচিত্র্য। রোদে শুকনো মুগডাল দিয়ে আজও খিচুড়ি তৈরি হয়। নৈবেদ্যর তালিকায় থাকে ভাজা সবজি। মাখনের নৈবেদ্য হল এই বাড়ির ভোগের অন্যতম আকর্ষণ। তা আজও প্রতিমাকে নিবেদন করা হয়।