সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে প্রেম অন্ধ। মনের মানুষের জন্য কত ঝুঁকিই না নেওয়া যায়। প্রেমে অন্ধ হয়েই প্রেমিককে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় পাশ করানোর লক্ষ্যে বড়সড় ঝুঁকি নিলেন তরুণী। আর সেই ঝুঁকির ফলে কড়া শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে তাঁকে।
বিষয়টি খোলসা করা যাক। তরুণীর প্রেমিক বীর নর্মদা দক্ষিণ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়া। একাধিকবার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন তিনি। তরুণী নিজে সরকারি চাকরি করেন। অথচ তাঁর প্রেমিক কলেজের গণ্ডিও পেরতে পারছেন না, তা মানতে পারেননি তরুণী। যদিও প্রেমিকের পরীক্ষা নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথাও নেই। বর্ষশেষে উৎসবের মরশুমে উত্তরাখণ্ডে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন তিনি। তাই পরীক্ষায় বসবেন না। অথচ প্রেমিককে পাশ করানোর জন্য যেন উঠেপড়ে লেগেছিলেন তরুণী। নিজেই প্রেমিকের হয়ে পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নেন। নাম ও পরিচয়পত্রে ছবি বদলে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকেছিলেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকা অধ্যাপকও বিষয়টি টের পাননি।
[আরও পড়ুন: চিন থেকে ফিরেই করোনা আক্রান্ত আগ্রার যুবক, সিল করা হল বাড়ি, উদ্বেগে প্রশাসন]
বেশ নির্বিঘ্নে পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু গণ্ডগোল তৈরি হল পরে। একই ঘরে বসে পরীক্ষা দেওয়া এক যুবক দাবি করেন, ওই তরুণী তাঁর প্রেমিকের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাতেই সন্দেহের সূত্রপাত। এরপর পরীক্ষকরা কাগজপত্র ভালভাবে খতিয়ে দেখেন। তাতেই সামনে আসে আসল ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে তরুণীর কাছ থেকে উত্তরপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই প্রতারণার কথা সামনে আসার পর তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তরুণী যে এই কাজ করেছেন, তা আগে জানতেনও না তাঁর পরিবারের লোকজন। তরুণীর প্রেমিকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন যুবক উত্তরাখণ্ডে ছিলেন বলেও জানান।
বেশ কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে তরুণীকে। নিজের প্রেমিককে পাশ করাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ায় শাস্তি হিসাবে ওই তরুণীকে নিজের সরকারি চাকরি খোয়াতে হতে পারে। এমনকী তাঁর নিজের যাবতীয় ডিগ্রি বাতিল করে দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।