shono
Advertisement

Breaking News

চোরেদের মন্ত্রিসভা…! দুর্নীতি ইস্যুতে ব্রাত্যর হাতিয়ার বুদ্ধর মন্তব্য

দুর্নীতি ইস্যুতে তিন দশকের পুরনো মন্তব্য হাতিয়ার করলেন ব্রাত্য।
Posted: 07:06 PM Mar 24, 2023Updated: 07:26 PM Mar 24, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিরোধীদের তোপের মুখে সেই বাম আমলকেই ঢাল করছে তৃণমূল। দুর্নীতি বাম আমলেও হয়েছিল এবং ব্যাপক হারে হয়েছিল, দুর্নীতির অভিযোগের পালটা হিসাবে জোরালভাবে এই তত্ত্বই খাড়া করতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল। সেটা শুক্রবার আরও একবার সেটা বুঝিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুধু অভিযোগ করা নয়, বাম আমলের দুর্নীতি ইস্যুকে পালটা আক্রমণের অস্ত্র হিসাবেও ব্যবহার করছেন ব্রাত্য।

Advertisement

ব্রাত্যর (Bratya Basu) দাবি, তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কুৎসা করা হচ্ছে। বাম আমলের তথ্য তুলে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, দলে এক দু’জন ‘চোর’ থাকলেই যেমন সে দলের সকলকে ‘চোর’ তকমা দেওয়া যায় না। তেমনই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তৃণমূলের (TMC) একাধিক নেতার নাম জড়ালেও তাতে দল বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় না। নিয়োগ দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে দলের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে, সেটা মেনে দিচ্ছেন ব্রাত্য। কিন্তু তাঁর দাবি, কোনও অভিযোগেই ‘দিদি’র ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা যাবে না।

[আরও পড়ুন: ‘আদানিকে গ্রেপ্তার করুন’, অর্থমন্ত্রী ও ইডি দপ্তরে দাবিতে সোচ্চার তৃণমূল]

এ প্রসঙ্গেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর ৩ দশক পুরনো একটি মন্তব্য শোনা গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর মুখে। ১৯৯৩ সালে রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই সময় শোনা গিয়েছিল তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মন্ত্রিসভাকে নাকি ‘চোরেদেরর মন্ত্রিসভা’ আখ্যা দিয়েছিলেন বুদ্ধবাবু। এদিন বুদ্ধদেবের নাম না নিলেও সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করলেন ব্রাত্য। তাঁকে বলতে শোনা গেল, “কোনও ব্যক্তির চুরি পার্টির চুরি নয়। কেউ যদি পদত্যাগ করে বলে ‘চোরেদের মন্ত্রিসভায় থাকব না’ তার মানে কি সবাই চোর! একটা দু’টো ছিল হয়তো।” অর্থাৎ ব্রাত্য বোঝাতে চাইলেন, সেসময় বামেদের মন্ত্রিসভায় যেমন সকলে চোর ছিলেন না। তেমনই আজকের তৃণমূলেও সবাই চোর নয়।

[আরও পড়ুন: ১৪০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, দেশের করোনা পরিসংখ্যানে ফের উদ্বেগ]

বস্তুত, এদিনও সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি পাওয়া নিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। কখনও তাঁর মুখে উঠে এসেছে CAG রিপোর্টের কথা, কখনও তিনি বলেছেন সিপিএমের (CPIM) কুৎসার কথা। আসলে আগামী দিনে যে দুর্নীতি ইস্যুতে সিপিএম আমলের দুর্নীতিই তাঁদের পালটা হাতিয়ার হতে চলেছে, সেটা ভালই বুঝিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement