সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে একজন নায়ক। পরিস্থিতির চাপে অজান্তেই সাধারণ মানুষও হয়ে ওঠেন অতিমানব। মুম্বইয়ের হাসপাতালে ঘটা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এই প্রবাদকে ফের সত্য প্রমাণিত করল। জীবন পণ করে ১০জন মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে অসাধারণ হয়ে উঠলেন এক সাধারণ ডেলিভারি বয়।
[দিনভর রাফালে নিয়ে উত্তপ্ত সংসদ, রাহুলকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজেপি সাংসদদের]
নাম সিধু হুমানওয়াড়ে। বয়স ২০। ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সুইগি-র হয়ে খাবার বিলি করার কাজ করেন তিনি। আর পাঁচটা দিনের মতোই ঘটনার দিন খাবার বিলি করতে বেরিয়েছিলেন। তখনই হাসপাতালে ঘটা অগ্নিকাণ্ড তাঁর নজরে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যেই কর্তব্য স্থির করে ফেলেন তিনি। প্রাণের মায়া না করেই ঝাঁপিয়ে পরেন উদ্ধারকাজে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সিধু হুমানওয়াড়ে জানান, দাউদাউ করে আগুন জ্বলছিল আন্ধেরির এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনের হাসপাতালে। বহুতলে আটকে ছিলেন বহু রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। দেরি না করে দমকলের সিঁড়ি বেয়ে চারতলায় উঠে পড়েন তিনি। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হওয়ার জোগাড়। এমন পরিস্থিতিতেও মাথা ঠান্ডা রেখে ১০জন রোগীকে উদ্ধার করেন। তারপর প্রবল উত্তাপ ও ধোঁয়ায় নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আপাতত মুম্বইয়ের সেভেন হিলস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই যুবক।
উল্লেখ্য, সোমবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে মুম্বইয়ের আন্ধেরির এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনের হাসপাতালে। ঘটনায় প্রাণ হারান ১০ জন। জানা গিয়েছে, মাত্র দু’সপ্তাহ আগেই অগ্নিনির্বাপণ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিল মুম্বইয়ের আন্ধেরির এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনের হাসপাতাল। আধিকারিকরা হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতির নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাসপাতালের অডিট রিপোর্ট থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। অথচ, কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই। দমকলকর্মীরা জানাচ্ছেন অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে শ্বাসকষ্টে। উদ্ধার করে নামানোর সময় ল্যাডার থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে একজন মহিলার।
[মুম্বইয়ে সরকারি হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মৃত অন্তত ৫]
The post আগুনে ঝাঁপ দিয়ে ১০ জনের প্রাণরক্ষা, মুম্বইয়ের ডেলিভারি বয়কে কুর্নিশ appeared first on Sangbad Pratidin.