দেব গোস্বামী, বোলপুর: এবারও দোলের দিন বসন্ত উৎসব করেনি বিশ্বভারতী। প্রথা ভেঙে বুধবার বিশ্বভারতীতে অনুষ্ঠিত হল বসন্ত বন্দনা। উপাচার্য, সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, কর্মী ও কর্মী সংঘের সদস্যরা ছাড়াও পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করে এদিনের অনুষ্ঠানের। বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হয়। তবে এবছর অনুষ্ঠানের শেষে "রাঙিয়ে দিয়ে যাও, যাও গো এবার যাবার আগে" সংগীত ও নৃত্য পরিবেশিত হলেও ছিল না কোন আবির বা রং খেলা। তার পরিবর্তে ফুল দিয়ে নৃত্যটি সম্পন্ন হয়। তবে এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটক ও বহিরাগতদের প্রবেশধিকার ছিল না। আর কর্তৃপক্ষের এই আচরণে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব ও পৌষমেলা দেশ-বিদেশের পর্যটক-সহ রাজ্যের প্রত্যেকের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। অথচ ২০১৯ সালের পর বসন্ত উৎসব বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হবার পরেও পরিবর্তন হয়নি কোনও কিছুই। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি পাওয়ার পর আশ্রম চত্বরে কোনওভাবেই লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে বসন্ত উৎসব সম্ভব নয়। তাই ভিড় আটকাতে বসন্ত বন্দনার আয়োজন।"
[আরও পড়ুন: লস্করের হুমকি চিঠির CBI তদন্তের দাবি শান্তনুর, বড়মাকে বাইরে থেকে প্রণাম করে দিল্লিতে মমতা]
যদিও স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রবীণ আশ্রমিকদের কথায়, "রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী বলতে কখনও শুধু ছাত্র ও শিক্ষকদের বুঝতেন না। তিনি বিশ্বভারতীর সব অনুষ্ঠানে এখানকার বাসিন্দাদেরও যুক্ত করতেন। তাঁর ভাবধারায় আকৃষ্ট হতেন সকলেই। সেইসব ঐতিহ্য রীতি রেওয়াজ আজ কিছুই নেই। উৎসব অনুষ্ঠানগুলিকে নিয়েই স্বীকৃতি মিলেছে অথচ এই উৎসব অনুষ্ঠানগুলিকেই বাদ দিতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।"