সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। যেহেতু এটা খুবই সংবেদনশীল ইস্যু, তাই এটা নিয়ে ‘রাজনীতিকরণ’ করা উচিত নয়। BRICS সম্মেলন থেকে গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির কাছে এমনই আরজি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাম না করে তিনি চিনকেই লক্ষ্য করে এই পদক্ষেপ করলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতকে নিয়ে গঠিত ব্রিকস গোষ্ঠী। সেই গোষ্ঠীর সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। তিনি ছাড়াও এতে অংশ নিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। ভারচুয়াল এই সম্মেলনের শেষে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মোদি সুর চড়িয়েছেন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ‘রাজনীতি’র বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: ইস্তফা দেবেন না উদ্ধব ঠাকরে, কার্যনির্বাহী বৈঠকের আগে দাবি সঞ্জয় রাউতের]
গোষ্ঠীর সদস্য় দেশগুলিকে মোদি আরজি জানিয়েছিলেন, দেশগুলির উচিত অন্য দেশগুলির নিরাপত্তার বিষয়টিও বোঝা। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে বলেও জানান তিনি। এমন সংবেদনশীল বিষয়ে ‘রাজনীতিকরণ’ করাও উচিত নয় বলেও উল্লেখ করেন মোদি।
কোনও দেশের নাম উল্লেখ না করলেও এভাবেই বেজিংকে তিনি কড়া বার্তা দিলেন বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু কেন চিনের বিরুদ্ধে এমন বার্তা মোদির? আসলে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজের শ্যালক মাক্কিকে সন্ত্রাসবাদী মনোনীত করার প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে চিন। কুখ্যাত জঙ্গি আবদুল রহমান মক্কিকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বারবারই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জিনপিংয়ের দেশ। মোদির মতে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যদি চিন ভিন্ন মেরুতে চলে তাহলে তা ভাল বার্তা দেয় না।
[আরও পড়ুন: নর্দমা থেকে উদ্ধার ৭টি মানব ভ্রুণ, লিঙ্গ জেনেই গর্ভপাত? হুলুস্থুল কর্ণাটকে]
কে এই মক্কি? মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী হাফিজ সইদের সঙ্গে জেহাদি কাজে যুক্ত রয়েছে মক্কি। কাশ্মীর উপত্যকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র পাচারে জড়িত রয়েছে সে। পাকিস্তানে (Pakistan) আল কায়দার ‘স্লিপার সেল’গুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে মক্কি। সবমিলিয়ে তাকে বাগে আনতে পারলেই অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়বে লস্কর। এবারে চিনের বিরুদ্ধে তার ‘রক্ষাকর্তা’ হওয়ার অভিযোগই কার্যত তুললেন মোদি। নাম না করেও তিনি চিনের উপরে চাপ বাড়ালেন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।