সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহেই দেশে চলছে বিয়ের মরশুম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলেও, মাঝেমধ্যেই সামনে আসে আজব সমস্ত ঘটনা। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) অরাইয়া জেলা সাক্ষী থেকেছে সেরকমই একটি ঘটনার। চশমা ছাড়া হিন্দি সংবাদপত্র পড়তে পারেননি হবু বর। আর সেকারণেই মাঝপথেই বিয়ে ভেস্তে দিলেন কনে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। তবে শুধু বিয়ে ভেস্তে দেওয়াই নয়, বর এবং তাঁর পরিবারের লোকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করা হয়।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েকদিন আগেই সদর কোতোয়ালি এলাকার জামালিপুর গ্রামের বাসিন্দা অর্জুন সিংয়ের মেয়ের সঙ্গে বাঁশি পুলিশ স্টেশনের আচলদা শহরের বাসিন্দা শুভমের বিয়ে ঠিক হয়। মেয়ের হবু বর শিক্ষিত জেনেই চলতি মাসের ২০ তারিখ বিয়ের দিনক্ষণ পাকা করেন অর্জুন সিং। এরপর নির্ধারিত দিনে বরযাত্রী-সহ বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হন শুভম। এই সময় একটি মোটরবাইক এবং কিছু নগদ অর্থও দেওয়া হয় হবু বরকে।
[আরও পড়ুন: আর পাঁচজন যাত্রীর মতোই দিল্লি মেট্রোতে সফর বাঁদরের, নেটদুনিয়ায় ভাইরাল ভিডিও]
পরবর্তীতে কনের বাড়ির লোক রীতিমতো খাতির-যত্ন করতে শুরু করেন শুভম ও অন্যান্য বরযাত্রীদের। নিয়ম মেনে বরের জন্য নির্দিষ্ট চেয়ারে এসেও বসেন শুভম। কিন্তু এরপরই ঘটে আসল বিপত্তি? শুভম যে চশমা পরেন, তা জানতেন না কনে। বিয়ে করতে এসে হবু বরের চোখে চশমা দেখে প্রথমেই সন্দেহ হয় তাঁর। এরপরই তিনি হবু বরকে চশমা না পরে একটি হিন্দি সংবাদপত্র পড়তে বলেন। কিন্তু শুভম জানান, চশমা ছাড়া তিনি কোনওকিছুই পড়তে পারেন না। এরপরই সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিয়ে ভেস্তে দেন কনে। অন্যদিকে, মেয়ের বাবা জানান, প্রথম দেখায় তিনি ভেবেছিলেন শুভম কেবল স্টাইলের জন্য চশমা পরেন। কিন্তু বুঝতে পারেননি, চশমা ছাড়া হবু বর তিনি কিছু দেখতে পারেন না। যদিও সত্যটা জানার পর তিনিও বিয়েতে না বলে দেন। এদিকে, এই ঘটনার পরই কনের বাড়ির লোক শুভম এবং তাঁর পরিবারের নামে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেন। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।