গোবিন্দ রায়: হাসনাবাদ বিস্ফোরণে ধৃত বিজেপি নেতার ভাই। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করল হাসনাবাদ পুলিশ। ঘটনার পর শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে আসে সিআইডি, বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড ও ফরেনসিক বিভাগের অফিসাররা। তাঁরা এসে তদন্তের পর এদিল সকালে দিলীপ দাস আজকে গ্রেপ্তার করে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। আজই তাঁকে তোলা হবে বসিরহাট আদালতে। পুলিশের সন্দেহ, কৌটো বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল।
বিজেপি নেতা নিমাই দাসের ভাই দিলীপ বসিরহাটের হাসনাবাদের শিমুলিয়া কালীবাড়ির বাসিন্দা। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ বিজেপির নেতার ভাইয়ের স্ত্রী রান্না করছিলেন। সেই সময় আচমকা রান্নাঘর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছিটকে কিছুটা দূরে গিয়ে পড়েন ওই মহিলা। বিজেপি নেতার দাবি, প্রথমে মনে করা হয়েছিল আঘাত গুরুতর। তবে পরে বোঝা যায় আঘাত ততটা গুরুতর নয়। বোমা বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাসনাবাদ থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়াকে টেক্কা বারাকপুরের! মে মাসে আরও চড়বে পারদ, ৭ জেলায় লাল সতর্কতা]
ততক্ষণে ঘটনাস্থলে অগণিত বিজেপি কর্মী-সমর্থক ভিড় জমান। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। যদিও পদ্মশিবিরের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দাবি, ভোটের মুখে তৃণমূল ওই বাড়িটিতে বোমা রেখেছে। যদিও বিজেপি নেতা নিমাইয়ের দাবি, কে বা কারা বোমা মজুত করে রাখল, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। তড়িঘড়ি তদন্তে নামে পুলিশ, সিআইডি, ফরেনসিক বিভাগ। রাতভর তদন্তের পর বিজেপি নেতার আত্মীয়কে হেফাজতে নিল তারা।