শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের দু’পারে অঘোষিত মিলনমেলা ঘিরে উত্তাল উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ সীমান্ত। বিএসএফের (BSF) বিরুদ্ধে এক শিশুকে মারধরের অভিযোগ উঠতেই ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে স্থানীয়রা। বিএসএফের জওয়ানদের সঙ্গে হেমতাবাদের বাসিন্দাদের একাংশের বচসা ধাক্কাধাক্কির পর্যায় পৌঁছে যায়।
শুক্রবার অঘোষিতভাবেই হেমতাবাদ ব্লকের চৈনগর পঞ্চায়েতের মাকড়হাট সীমান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা আয়োজিত হয়। কাঁটাতারের দু’প্রান্তে জড়ো হন অসংখ্য মানুষ। এপারে ভিড় বাড়ান হেমতাবাদের (Hemtabad) হাজার হাজার মানুষ। আর ওপারে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার রানীসংখাল থানা এলাকার সীমান্তবর্তী কাঁটাতারের ধারেও বাংলাদেশ মানুষজনের ভিড় বাড়ে। বিকাল নাগাদ দুই পারে প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার মানুষের জমায়েত হয়। ওপারে ফেলা আসা পরিজনদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন বহু মানুষ।
[আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় দুর্নীতি রুখতে কড়া রাজ্য, যোগ্যদের বাছতে ত্রিস্তরীয় পরীক্ষার সিদ্ধান্ত]
অভিযোগ, এই মিলন মেলাতেই বাধা দিয়েছে বিএসএফ। তাঁর দাবি, হঠাৎ লাঠি উঁচিয়ে সীমান্তের জওয়ানরা কাঁটাতার ঘেঁষে জড়ো হওয়া জনতার পিছু তাড়া করে। সশস্ত্র বিএসএফের তাড়ায় প্রাণ নিয়ে হুড়োহুড়ি করে দৌড়াতে গিয়ে জখম হন একাধিক সীমান্তবাসী। তাড়াহুড়োয় একাধিক বাসিন্দা জখম হন। বিএসএফ এক শিশুকে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ তোলেন বাসিন্দারা।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,”সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা বাসিন্দাদের উপর বিএসএফ অন্তত দশবার লাঠি নিয়ে তাড়া করে। আর তাতেই নিজেদের বাঁচাতে দৌড়তে গিয়ে এপারের কয়েকজন জখম হন।যদিও মাকড়হাট বিওপির ১৭৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের পক্ষ থেকে মারধরের ঘটনা অস্বীকার করা হয়।
[আরও পড়ুন: মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে যুবসমাজ, কলকাতায় সমস্ত হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ পুরসভার]
বিএসএফের তরফে বরং জানানো হয়, সীমান্তে মিলনমেলার জন্য অনুমতি ছিল না। মাইক দিয়ে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তা সত্বেও এদিন সকাল থেকে হেমতাবাদ সীমান্তের কাঁটাতারের সামনে দলে দলে প্রচুর মানুষ জড়ো হন। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাঁদের পদক্ষেপ করতে হয়। উল্লেখ্য, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, সীমান্তে বিএসএফ সাধারণ বাসিন্দাদের উপর অত্যাচার করছে। হেমতাবাদের ঘটনা শাসকদলের হাতে নতুন করে অস্ত্র তুলে দিল, সেটা বলাই যায়।