জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বাংলাদেশি মুদ্রা (Bangladeshi currency) পাচারের সময় বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে হাতেনাতে ধরা পড়ল ৩ যাত্রী। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২ লক্ষ ১ হাজার বাংলাদেশি মুদ্রা। বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, নদিয়া জেলার তিন বাসিন্দা অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে এই মুদ্রা পাচারের চেষ্টা করছিল। পেট্রাপোলের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের কাছে তিনজনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে বিএসএফ জওয়ানরা ডেকে তল্লাশি চালান। তাতেই উদ্ধার হয় এই বাংলাদেশি মুদ্রা। তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে শুল্ক দপ্তরের হাতে।
রবিবার কর্তব্যরত বিএসএফ কর্মীরা আইসিপি পেট্রাপোলের (Petrapole) প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে তিনজন সন্দেহজনক যাত্রীকে থামিয়ে তল্লাশি করে। তল্লাশির সময়ে তাঁদের কাছ থেকে অবৈধ বাংলাদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। জওয়ানরা যাত্রীদের কাছে মুদ্রার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। এরপরে যাত্রীদের আটক করা হয় এবং শুল্ক আইন, ১৯৬২ লঙ্ঘন করে মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করা হয়। আটক হয়েছেন অমিত কুমার মজুমদার, অঙ্কন মজুমদার এবং সুনীল বিশ্বাস। সকলেই নদিয়া (Nadia) জেলার বাসিন্দা। নিজেদের কীর্তির কথা তারা স্বীকার করেছে বলে দাবি বিএসএফের।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের বার্তার পরই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান বায়রন বিশ্বাস, তুঙ্গে জল্পনা]
জিজ্ঞাসাবাদে অমিত কুমার মজুমদার জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে মুদ্রা পাচারের সঙ্গে জড়িত এবং সুযোগ পেলেই পাচার করত। এই বাংলাদেশি মুদ্রাটি পেট্রাপোলে রাকেশ নামে এক ব্যক্তি, যে পেট্রাপোলে মুদ্রা কাউন্টার চালায়, তার কাছ থেকে অবৈধভাবে পেয়েছে। এরপর পেট্রাপোলে এসে বাকি ২ যাত্রীকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে এই মুদ্রা বিতরণ করে। তিনি যাত্রীদের বলেছিলেন যে বাংলাদেশে পৌঁছনোর পর তাদের কাছ থেকে মুদ্রা ফিরিয়ে নেবেন। কিন্তু পথে বিএসএফ তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে গ্রেপ্তার করে।
[আরও পড়ুন: ১৫ দিনের মধ্যে কুস্তিগিরদের সমস্যা মেটাতে হবে, কেন্দ্রকে সময় বেঁধে দিল খাপ পঞ্চায়েত]
বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিকের বক্তব্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিএসএফ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ কারণে অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের অনেক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই এই এলাকা দিয়ে চোরাচালান হতে দেওয়া যাবে না।