সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'বুদ্ধাস্তে' মন খারাপ আপামর বাঙালির। দীর্ঘ কয়েক দশকের রাজনৈতিক জীবন কাটিয়ে অমৃতলোকে পাড়ি দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। বাম জমানার শেষ মুখ্যমন্ত্রী। শেষ আইকনকে হারিয়ে 'অভিভাবক'হীন বামপন্থীরা। একজন অভিজাত, রুচিশীল, সৎ তথা সংস্কতিমনস্ক রাজনীতিককে হারিয়ে রং-দল নির্বিশেষে শোকবিহ্বল সকলে। বুদ্ধদেববাবুর প্রয়াণে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্যালুট জানালেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-সহ আরও অনেকে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে দেব মনে করালেন একজন 'প্রকৃত নেতার' কথা। একজন রুচিশীল প্রকৃত ভদ্রলোকের কথা। 'শান্তিতে ঘুমোন আপনি', লিখলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, "একজন সত্যিকারের ভালো গুনী মানুষ চলে গেলেন। ভালো থাকবেন। বুদ্ধবাবুর পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল।" অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণায় ফিরে এল 'মুখ্যমন্ত্রী, সংস্কৃতিমনস্ক' বুদ্ধদেবের কথা। সিনেমা কিংবা টেলিফিল্ম পছন্দ হলে কীভাবে প্রশংসায় ভরিয়ে দিতেন, পাশাপাশি কাজ খারাপ লাগলে কখনও প্রকৃত শুভকাঙ্ক্ষীর মতো সমালোচনা করতেও পিছপা হতেন না। বরং মুখের উপরই বলে দিতেন, 'অখাদ্য ছবি হয়েছে।' ধুতি-পাঞ্জাবিতে কতটা সাদমাটা মানুষ ছিলেন, সেকথাও উঠে এল রূপার স্মৃতিচারণায়।
[আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত ক্ষতি, বকাও খেয়েছি’, ‘বুদ্ধমামা’কে হারিয়ে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে শোকবিধ্বস্ত উষসী]
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ফিরে গেলেন তাঁর বিয়ের দিনটিতে। অভিনেত্রীর বিয়েতে শুভেচ্ছা জানাতে পৌঁছে গিয়েছিলেন জ্যোতি বসু এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। স্মৃতির সরণি বেয়ে অভিনেত্রী বললেন, "মনে পড়ছে সেই দিনটি, যেদিন উনি আর তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু আমার বিয়েতে এসেছিলেন। আসলে এইসব মানুষরা বিরল এই পৃথিবীতে। তাঁদের মানসিকতা, শিক্ষাজ্ঞান আমাদের সমাজকে সবসময় উর্বর করেছে। আজ ওঁর মতো একজন শিক্ষিত মানুষ, এত বড় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চলে গেলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি যা রেখে গেলেন সেটা আমাদের কাছে বিশাল সম্পদ। যা কিনা আগামী প্রজন্মের জন্য এক উদাহরণ। তাঁকে স্যালুট।"