বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নতুন সংসদে ভবনে প্রথমবার বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আসন্ন লোকসভা ভোটের জেরে এবার অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ হবে। সচরাচর অন্তর্বর্তী বাজেটে বড় ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা কমই থাকে। কিন্তু কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রথম দফায় ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ফায়দা তুলতে অন্তর্বর্তী বাজেটেও বেশ কিছু বড় ঘোষণা করে চমক দেওয়া হয়েছিল। এবারও বিজেপি একই রাস্তায় হাঁটতে পারে।
এবারের বাজেটেও আয়করের ক্ষেত্রে ছাড়বৃদ্ধির ঘোষণা হতে পারে, এমন জল্পনা প্রবল। মধ্যবিত্তদের মন জয় করতে আয়করের সীমা বৃদ্ধি করে ১০ লক্ষ করা হতে পারে, এমন কথাও শোনা গিয়েছে। আবার ৮০সি-র আওতায় সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে যে ছাড় রয়েছে, তা বাড়িয়ে আড়াই লক্ষ করার সম্ভাবনাও রয়েছে। স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রেও আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়ানো হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে ব্যর্থ রাবড়ি মডেল! কেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়া হল না হেমন্ত জায়া কল্পনার?]
মধ্যবিত্তের পাশাপাশি এবারের বাজেটে কেন্দ্র যে মূলত চারটি ক্ষেত্রে দরাজ হতে চলেছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। যুবা, মহিলা, কৃষক ও গরিব– এই চার শ্রেণির জন্যই বাজেটে যে বেশ কিছু সুবিধার কথা ঘোষণা হতে চলেছে, বুধবার লোকসভায় যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণেই তার আঁচ মিলেছে। ভাষণের শুরুর দিকে কেন্দ্রের সাফল্যের দীর্ঘ খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি এদিন দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছেন মহিলাদের জন্য মোদি সরকার কী করেছে তা তুলে ধরতে। দেশের মহিলা ভোটারদের সংখ্যা এখন পুরুষদের প্রায় সমান। সেই অঙ্ক মাথায় রেখেই মহিলা ভোটব্যাঙ্ককে কাছে টানার চেষ্টা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
[আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে মহানাটক! ৭ ঘণ্টা জেরার পর ইস্তফা, গ্রেপ্তার হেমন্ত, নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই]
পাশাপাশি আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কের দিকে নজর রেখে তাঁদের জন্যও বড় ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে আজ। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নতুন প্রকল্প ঘোষণা না করে পুরনো প্রকল্পগুলিতেই বাড়তি সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে সূত্রের খবর। যেমন, ২০১৯ সালের অন্তর্বর্তী বাজেটে প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি প্রকল্প ঘোষণা করে কৃষকদের বছরে ছহাজার টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার তা বৃদ্ধি করে আট হাজার করা হতে পারে। মহিলা কৃষকদের জন্য এই টাকা দ্বিগুণ, বারো হাজার করা হতে পারে।
আবার, যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি দুর্বল, বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলির জন্যও বাজেটের মাধ্যমে ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হতে পারে। ভোটের লক্ষ্যে বাজেট, তাই সামাজিক ক্ষেত্রের উপর জোর দেওয়া হলেও পরিকাঠামো সংক্রান্ত বড় কোনও ঘোষণার সম্ভাবনা ক্ষীণ।