সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানোয়ার যাত্রার নেমপ্লেট, নিট বিতর্ক, শরিকশাসিত রাজ্যগুলোর বিশেষ মর্যাদার দাবি- বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে বিজেপির কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে একাধিক ইস্যু। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তবে গোটা অধিবেশনে একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে সংসদে সুর চড়াবেন বিরোধীরা। এমনকি শরিকদের দাবি সামলাতেও চাপে পড়তে পারে মোদি সরকার।
টানা সপ্তমবার বাজেট (Budget Session) পেশ করবেন নির্মলা সীতারমণ। ভারতীয় সংসদের ইতিহাসে এ এক নয়া নজির। বাজেট পেশের আগে প্রথামাফিক আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। বেকারত্ব, জিডিপি বৃদ্ধি, বাজেটে ঘাটতি, মূল্যবৃদ্ধির মতো একাধিক বিষয়ের উল্লেখ থাকবে এই সমীক্ষার রিপোর্টে। পরের দিন পেশ হবে বাজেট। উল্লেখ্য, নতুন সংসদ ভবনে এই প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হবে। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ফের উরির ধাঁচে হামলা! কাশ্মীরের সেনাঘাঁটিতে হানা জঙ্গিদের, আহত জওয়ান]
তবে বাজেট অধিবেশন ঘিরে উত্তাল হবে সংসদ, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। উত্তপ্ত অধিবেশনের ইঙ্গিত মিলেছে বাজেটের আগে সর্বদল বৈঠকেই। বাজেট অধিবেশনের আগে রবিবার সর্বদল বৈঠক ডাকে কেন্দ্র। সেখানেই একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন বিরোধী সাংসদরা। নিট পরীক্ষায় কারচুপি, ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে সুর চড়ান গৌরব গগৈ। কানোয়ার যাত্রায় দোকানের মালিকের নাম সাইনবোর্ডে লেখার নির্দেশিকার বিরোধিতা করে রামগোপাল যাদব মুখ খোলেন এই বৈঠকে। জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “বিহারের জন্য বিশেষ মর্যাদা চেয়েছে জেডিইউ। ওয়াইএসআর কংগ্রেস চেয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য। কিন্তু এনডিএ শরিক টিডিপি এই নিয়ে কিছুই বলেনি বৈঠকে।”
যদিও সর্বদল বৈঠকে বারবার বিজেপির (BJP) তরফে বিরোধীদের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, সুষ্ঠুভাবে যেন তাঁরা সংসদের কাজ পরিচালনা করতে দেন। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং থেকে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু- সকলেই আর্জি জানান। কিন্তু কংগ্রেস সাংসদ গগৈ সাফ জানিয়ে দেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে সংসদে বিরোধীদের বলতে দিতে হবে। উল্লেখ্য, নতুন সরকার গঠনের পরে একাধিকবার সংসদে তোপের মুখে পড়েছে বিজেপি। বাজেট অধিবেশনে আরও জোরাল আক্রমণের মোকাবিলা করতে হবে গেরুয়া শিবিরকে, মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।