সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, রাখে হরি, মারে কে! সদ্যোজাতর কান্নার আওয়াজ এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দিল তাকে। জন্মদাতা বাবা-মা জ্যান্ত কবর দিয়েছিল ওই একরত্তিকে।কান্নার আওয়াজে পেয়ে শেষমেশ স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কোনওরকমে রক্ষা পেয়েছে ছোট্ট প্রাণটি। এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইল উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর।
সবেমাত্র ভোর হয়েছে। স্থানীয় যুবক মনোজ ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ফেলছিলেন। কাজ করা সময় এক বাচ্চার কান্নার আওয়াজ তাঁর কানে আসছিল। কিন্তু তিনি ততটা পাত্তা দেননি। ঝোঁপের কাছে মাটি ফেলতে গিয়ে দেখেন, একটি বাচ্চার হাত মাটি থেকে বাইরে বেরিয়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের ডেকে আনেন। তাঁরাই মাটি খুঁড়ে সদ্যোজাতটিকে উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা একাধিক পরীক্ষা করে দেখেন সদ্যোজাত সুস্থই আছে। তবে বেশকিছুটা কাদা খেয়ে ফেলেছে সে। এরপর তাকে জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে সদ্যোজাতর বাবা-মার হদিশ পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন : ৪৮ ঘণ্টায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনেই মৃত ৯ জন, রেলের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন]
সিদ্ধার্থনগররের বাসিন্দারা বলছেন, ঝোঁপের কাছে সদ্যোজাতকে পুঁতে দিয়ে গিয়েছিল তার পরিবারের লোকজন। বেশখানিকটা সিমেন্ট, মাটি পড়েছিল। সেখান থেকে সদ্যোজাতর হাতটি শুধুমাত্র বেরিয়ে ছিল। কান্নার আওয়াজ শুনে সদ্যোজাতটিকে আমরা উদ্ধার করি। হাসপাতালে নিয়ে যাই। সে এখন সুস্থই আছে।স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সদ্যোজাতটির বয়স মাত্র একদিন। কিন্তু কেন অমানবিক কাজ করল তার পরিবার, উঠছে প্রশ্ন। এ বিষয়ে স্থানীয়দের ধারণা, হয়তো সদ্যোজাতর পিতৃপরিচয় নিয়ে সমস্যা ছিল। কিংবা পরিবার চাইনি তার জন্ম হোক। তাই এভাবে পুঁতে দিয়ে গিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় থানা যোগিয়ার এসএইচও অঞ্জনি কুমার বলেন, “সদ্যোজাতটি এখন ভাল আছে। তবে অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন : পরিযায়ী শ্রমিক কারা? চার দশক পর সংজ্ঞা নিয়ে মাথা ঘামাল কেন্দ্র]
The post সদ্যোজাতকে জ্যান্ত কবর দিয়ে পলাতক বাবা-মা, স্থানীয়দের চেষ্টায় রক্ষা পেল একরত্তি appeared first on Sangbad Pratidin.