সংবাদ প্রতিদিন ডিজিচাল ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে ছারখার মায়ানমার। সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে ক্রমে ঘনীভূত হচ্ছে বিপদ। চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দিল্লির কপালেও। এই প্রেক্ষাপটে মিজোরামে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল টাটমাদাও বা মায়ানমার সেনার একটি বিমান। মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া জওয়ানদের ফেরাতে এসেছিল বিমানটি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে মিজোরামের লেংপুই বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মায়ানমার সেনার বিমান। তাতে ১৪ জন যাত্রী ছিল। আটজন জখম হয়ে লেংপুই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে খবর। সূত্রের খবর, অবতরণের সময় রানওয়েতে পিছলে যায় শিংশি ওয়াই এইট বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গে সেটি দু’টুকরো হয়ে যায়। মিজোরামের এই বিমানন্দরের রানওয়েটি টেবিল টপ প্রকৃতির। যেখানে বিমান অবতরণ বেশ চ্যালেঞ্জিং। সেখানেই অবতরণের সময়ই দুটুকরো হয়ে গেল টাটমাদাও-এর বিমান।
[আরও পডু়ন: ‘ভেবেচিন্তে কথা বলুন…’, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনই কেন এমন কথা মিঠুনের মুখে?]
উল্লেখ্য, গণতন্ত্রের দাবিতে উত্তাল মায়ানমার (Myanmar)। মায়ানমারের উত্তর-পশ্চিমে সাগাইং প্রদেশে সরকারি বাহিনী ও পিডিএফের মধ্যে এই সংঘর্ষ বহুদিনের। পালটা ফৌজের নিপীড়নে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার গণতন্ত্রকামী। সেনাশাসন শেষ করতে তীব্র যুদ্ধ চালাচ্ছে বিদ্রোহী বাহিনী। প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষ ভারতে পালিয়ে আসছেন। মিজোরাম ও মণিপুরে আশ্রয় নিচ্ছে পালিয়ে আসা কুকি-চিন গোষ্ঠীর মানুষ। শুরুর দিকে জুন্টার পাল্লা ভারী থাকলেও ক্রমে শক্তিবৃদ্ধি করছে বিদ্রোহীরা। ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে দেশটির সামরিক বা জুন্টা সরকার। কয়েকদিন আগেই প্রতিবেশী দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস’ (পিডিএফ) মায়ানামার সেনার দুটি ঘাঁটি দখল করে ফেলে। এর পরই সেখান থেকে প্রচুর সেনা পালিয়ে মিজোরামে আশ্রয় নেয়।
অসম রাইফেলের বিবৃতি অনুযায়ী, মায়ানমারের ২৭৬ জন সেনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে ১৮৪ জনকে সোমবার ফেরত পাঠায় অসম রাইফেলস। বাকিদের এয়ার লিফট করতেই এদিন মিজোরামে এসেছিল টাটমাদাওয়ের বিমানটি।