সুকুমার সরকার, ঢাকা: চালকের অন্যমনস্কতা, বাড়তি যাত্রী তোলার চাপ। এসবের জেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে উলটে পড়ল যাত্রীবোঝাই বাস। বাংলাদেশের (Bangladesh) ঝালকাঠিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যুর (Death) খবর মিলেছে। আহত আরও ২০ জন। তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনাটি (Accident) ঘটে। যাত্রীদের অধিকাংশের অভিযোগ, চালকের ভুলেই এমন দুর্ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘বাসার স্মৃতি’ নামের একটি বাস শনিবার সকালে ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া থেকে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। পথে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি (Jhalkathi)সদরের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে পুকুরে বাসটি পড়ে যায়। দুপুর অবধি শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ১৭টি মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে। এছাড়া ২০ জনকে জখম অবস্থায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত মঙ্গলাহাটে নওশাদ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের আরজি ISF বিধায়কের]
জখম যাত্রী মহম্মদ রাসেল মোল্লা বলেন, ‘‘আমি বাসের চালকের পিছনের আসনে ছিলাম। বাসের চালক যাত্রার শুরু থেকেই বাড়তি যাত্রী ওঠানোর জন্য বারবার সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। গাড়ি চালানোয় মন ছিল না। এর ফলে চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। চালকের ভুলেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’ রাসেল জানান, বাবা সালাম মোল্লাকে নিয়ে তিনি বরিশালে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন। এই দুর্ঘটনায় তাঁর বাবা মারা গেছেন। তাঁর বড় ভাই মহম্মদ শাহিন এখন পর্যন্ত নিখোঁজ। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, যাত্রীদের পেটে অতিরিক্ত জল ঢুকেছে, তাতেই শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে কংগ্রেস! ‘রোজগার মেলা’ থেকে তোপ মোদির]
ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক গৌতম কুমার ঘোষ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের রেকার দিয়ে বাসটি তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বাসের মধ্যে আরও মৃতদেহ থাকতে পারে। একই আশঙ্কা ঝালকাঠি দমকল বিভাগের স্টেশন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের।