স্টাফ রিপোর্টার : একটা মাত্র বই কিনবেন। আর হয়ে যাবেন আস্ত একটা লাইব্রেরির মালিক! নতুন প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে এমনই ভাবনা ৪৩তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা কর্তৃপক্ষের। সোমবার পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘বইমেলার শেষ দিন লটারির মাধ্যমে চারজন বিজেতাকে বেছে নেওয়া হবে। যাঁদের হাতে গিল্ডের পক্ষ থেকে একটি বড় বুক শেলফ সহ এক লক্ষ টাকার বই তুলে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বই নির্বাচন করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে বিজেতাদের।’ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি ঘোষণা। নেট দুনিয়ার ওপর তরুণ প্রজন্মের নির্ভরশীলতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে হাতে বই নিয়ে পড়ার অভ্যেস। তার মধ্যেও যাঁরা বই পড়তে ভালোবাসেন, তাঁরাও কম্পিউটার স্ক্রিনে চোখ রেখেই তা পড়ে ফেলেন। কিন্তু নতুন বইয়ের গন্ধ, স্পর্শের রোমান্টিকতা এখনও মুছে যায়নি। সেই নস্টালজিয়া উসকে দিতেই বইমেলা কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণা। একটি বই
কিনে, লটারির শিকে ছিঁড়লেই যে কেউ ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন গ্রন্থাগার। তাও আবার নিজের পছন্দের বইয়ের সম্ভার নিয়ে।
[ক্লাসরুমে ‘গণচুম্বন’, বহিষ্কৃত হাওড়ার নামী স্কুলের ৬ ছাত্রছাত্রী]
আগামী ৩১ জানুয়ারি সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে শুরু হবে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। এবারের ফোকাল থিম – ঐতিহাসিক মায়া সভ্যতা গড়ে ওঠার দেশ গুয়াতেমালা। উদ্বোধনীর দিন উপস্থিত থাকবেন ওই দেশের রাষ্ট্রদূত জিওভানি কাস্টিলো। এছাড়াও থাকবেন গুয়াতেমালার বিশিষ্ট সাহিত্যিকরা। থাকছে আরও চমক। এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করছেন রাশিয়া, কোস্টা রিকা, স্পেন, স্কটল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জন্টিনা এবং বাংলাদেশের একগুচ্ছ সাহিত্যিক। ২০১৮র শেষ লগ্নে এবং বছর শুরুর সময়ে বাংলা সাহিত্য হারিয়েছে বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত কবি, সাহিত্যিককে। সদ্য প্রয়াত সেই কবি,সাহিত্যিকদের শ্রদ্ধা জানাতে তিনটি প্যাভিলিয়নের নামকরণ করছে বইমেলা কর্তৃপক্ষ। ইংরেজি প্রকাশনা সংক্রান্ত তিনটি প্যাভেলিয়নের নামকরণ করা হয়েছে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, দিব্যেন্দু পালিত এবং অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। লিটল ম্যাগাজিন প্যাভেলিয়নের নাম রাখা হচ্ছে কবি পিনাকী ঠাকুরের নামে। এতেই শেষ নয়, এবছর বই মেলায় ‘সিইএসসি সৃষ্টি সম্মান’ তুলে দেওয়া হচ্ছে প্রথিতযশা সাহিত্যিক শংকরকে। উদ্বোধনের দিনই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দেবেন। এবছর বইমেলায় মোট ৬০০টি স্টল এবং ২০০টি লিটল ম্যাগাজিনের স্টল থাকবে।
[কুকুরছানা হত্যাকাণ্ডের জের, আমিষ ছাড়লেন এনআরএসের ডেপুটি সুপার]
বইমেলা চলাকালীন শহর এবং শহরতলির বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য হাওড়া, শিয়ালদহ, উল্টোডাঙা, গড়িয়া, বেহালা এবং শ্যামবাজার থেকে ১৯০টি শাটল বাসের বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। মেলা চত্বরকে বইপ্রেমীদের নখদর্পণে আনতে অ্যাপ নিয়ে আসছে সিইএসসি। মোবাইলে ডাউনলোড করলেই মেলা সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন মেলায় আগত ক্রেতারা।
৪৩ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
The post বই কিনলেই লাইব্রেরির মালিক! চমক বইমেলায় appeared first on Sangbad Pratidin.