সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গেই দেশের দশ রাজ্যের ৫৪টি আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ২৮টি, গুজরাটের ৮টি, উত্তরপ্রদেশের ৭টি, নাগাল্যান্ড, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার দুটি করে আসন, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা এবং হরিয়ানার একটি করে আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে।
তবে সবার নজর থাকবে সেই মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh Bypolls)। কারণ, মধ্যপ্রদেশের এই উপনির্বাচনের উপরই নির্ভর করছে শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) সরকারের ভবিষ্যৎ। এ বছরের গোড়ার দিকে কংগ্রেস নেতা জ্যোত্যিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) সদলবলে ‘হাত’ ছেড়ে পদ্মে নাম লেখান। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক। পরে একে একে আরও ৩ জন বিধায়ক গিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। আরও ৩ বিধায়কের মৃত্যুর ফলে মোট ২৮ আসনের এই উপনির্বাচন হচ্ছে। ২৮টির মধ্যে ২৫ আসনেই কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া বিধায়কদের প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। এদের মধ্যে ১২ জন আবার রাজ্যের মন্ত্রী। অন্যদিকে, সিন্ধিয়ার যোগদানে ক্ষুব্ধ কয়েকজন বিজেপি নেতা আবার যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। কমল নাথ (Kamal Nath) আবার তাঁদের প্রার্থী করেছেন।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফায় বিহারের ৯৪ আসনে চলছে ভোটগ্রহণ, ভাগ্য নির্ধারণ তেজস্বী-তেজপ্রতাপের]
এই উপনির্বাচনের উপরই নির্ভর করছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ। ২৮টি আসনের মধ্যে অন্তত ৯টি আসনে জিততে চাইবেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। আর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে সবকটি আসনেই জিততে হবে কংগ্রেসকে (Congress)। যা একপ্রকার অসম্ভব। তাই এই উপনির্বাচনকে ক্ষমতা দখলের লড়াই হিসেবে না দেখে অনেকে সিন্ধিয়ার ‘প্রেস্টিজ ফাইট’ হিসেবে দেখছেন। সিন্ধিয়া নিজের সব অনুগামীকে জিতিয়ে আনতে না পারলে, নিঃসন্দেহে দলের অন্দরে তাঁর প্রতিপত্তি কমবে। আবার তিনি যদি নিজের সব অনুগামীকে জিতিয়ে আনতে পারেন, তাহলে বিজেপির শীর্ষনেতাদের নজরে তাঁর গুরুত্ব বাড়বে।
[আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের মুম্বইয়ে আশ্রয় নিতে সাহায্য করছেন AIMIM বিধায়করা!]
অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে ঝাড়খণ্ডের ২টি আসনের উপনির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস-জেএমএম জোট সরকারের হাতে বিরাট বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। অন্যদিকে বিজেপি চেষ্টা করে চলেছে, রাজ্যের বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গঠনের। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে সরকার ফেলার চেষ্টার অভিযোগে দেশদ্রোহিতার মামলা করেছে ঝাড়খণ্ড সরকার। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের সাত এবং গুজরাটের ৮ আসনের উপনির্বাচনেও থাকবে নজর।