সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে টানা বৃষ্টি, সেই সঙ্গে জল ছেড়েছে ডিভিসি। যার জেরে বাংলার সাতজেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত হয়েছে রাজ্য। এরই মাঝে নিজের এক মাসের বেতন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
পড়শি ঝাড়খণ্ডে ভারী বর্ষণের জেরে মাইথন, পাঞ্চেত ড্যাম থেকে জল ছাড়তে হয়েছে। তার উপর এ রাজ্যেও নিম্নচাপের জেরে লাগাতার বৃষ্টি। ফলে, বিপদের মুখে পড়েছে সাত জেলা-বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি এবং হাওড়া। যা পরিস্থিতি তাতে আপাতত বৃষ্টি কমার কোনও লক্ষণ নেই। বরং আজ, মঙ্গলবার থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
[আরও পড়ুন: লোকসভার আগেই ফের কংগ্রেসের হাত ধরছেন সৌমিত্র খাঁ? জোর জল্পনা বাঁকুড়ায়]
নবান্ন সূত্রের খবর, রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ মাইথন ড্যাম থেকে ৩০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত ড্যাম থেকে ৫০ হাজার কিউসেক, মোট ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সোমবার সকালে ফের দুই জলাধার থেকে এক লাখ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন জলাধার থেকে ৪৫ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৫৫ হাজার কিউসেক। ডিভিসি জানিয়েছে, এক দিকে দামোদর ও বরাকর উপত্যকা এলাকায় গত দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টি হওয়ায় সেই জল মাইথন জলাধারে এসে জমা হয়েছে। তেমনই ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট থেকে জল ছাড়ায় সেই জল এসে জমা হয়েছিল পাঞ্চেত জলাধারে। ঝাড়খণ্ডে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের জেরে এ রাজ্যেও চলছে দফায় দফায় বৃষ্টি। তার উপর দফায় দফায় জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ায় বেড়েছে এ রাজ্যের নদীগুলির জলস্তর। ফলে বন্যা পরিস্থিতি সাত জেলায়। গোটা পরিস্থিতির কথা বিচার করেই বেতন দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল।