সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুম শুরুর আগে, শুরু হয়ে গেল লোকসভার সেমিফাইনালের ওয়ার্ম-আপ। আগামী বছরের শুরুতেই উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে হতে চলেছে বিধানসভার ভোট। শুক্রবার সমীক্ষক সংস্থা সি-ভোটারের (C-Voter) নমুনা সমীক্ষায় ‘চমক’ হিসাবে উঠে এল পাঞ্জাব। উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে নমুনা সমীক্ষায় ইঙ্গিত, আসন কমলেও আগামী পাঁচ বছরের জন্য যোগীর হাতেই থাকতে পারে রাজ্যের শাসনভার।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, ভোটের আগেই পাঞ্জাবে কংগ্রেসের (Congress) ডামাডোল বাড়ছে। বিশেষ করে, অমরিন্দর সিং ও নভজ্যোত সিধুর মধ্যে দ্বন্দ্বে ফাটল বাড়ছে দলের অন্দরে। এই পরিস্থিতিতে সি-ভোটারের নমুনায় সমীক্ষায় ইঙ্গিত, রাজ্যের প্রধান শক্তি হিসাবে উত্থান হতে পারে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির। ১১৭ আসনের পাঞ্জাব বিধানসভায় কমবেশি ৫১ থেকে ৫৭ আসন পেতে পারে আপ। ৩৮ থেকে ৪৬ আসন পেয়ে বিরোধী আসনে বসতে হতে পারে কংগ্রেস। সমীক্ষায় অবশ্য এই রাজ্যে বেশ পিছিয়ে এনডিএ (NDA)। শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও পাঞ্জাবে এনডিএ-র ফল আশানুরূপ ছিল না।
[আরও পড়ুন: পুজোর আগেই উপনির্বাচন ভবানীপুরে, দিন ঘোষণা কমিশনের]
এদিনের নমুনা সমীক্ষা দেখলে উৎসাহিত হতে পারেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। সি-ভোটারের দাবি, রাজ্যে আসন বাড়তে পারে অখিলেশ যাদবের। আগেরবার সপা যেখানে ৪৮টি আসন পেয়েছিল, এবার সেখানে সমাজবাদী পার্টি পেতে পারে ১১৩টি আসন। তবে, এবার হতাশজনক ফল হতে পারে মায়াবতীর বিএসপি (BSP) এবং সোনিয়া গান্ধীর কংগ্রেসের। বিএসপি পেতে পারে মাত্র ১৪টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে আসতে পারে মাত্র ৫টি আসন। রাজ্য রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মাঠে নামিয়েও কংগ্রেসের ভাগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই বলে নমুনা সমীক্ষায় দাবি।
[আরও পড়ুন: ‘প্রভাবিত হয়েছে Election Commission’, ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই ফুঁসে উঠলেন Dilip Ghosh]
এটুকু বাদ দিলে গোয়া-উত্তরাখণ্ড এবং মণিপুরে সরকার পরিবর্তনের তেমন কোনও ইঙ্গিত নেই বলেই এদিন প্রকাশিত নমুনা সমীক্ষায় দাবি করেছে সি-ভোটার। পাঞ্জাবকে বাদ দিলে এদিনের নমুনা সমীক্ষা দেখে খানিকটা স্বস্তিতে বিজেপি। উত্তরখাণ্ডে ৪৪ থেকে ৪৮ আসন নিয়ে ফিরতে পারে বিজেপি। কংগ্রেস (Congress) পেতে পারে মাত্র ১৯-২৩টি আসন। গোয়াতেও বিজেপিরই ক্ষমতায় ফেরার ইঙ্গিত। গোয়ায় বিজেপি পেতে পারে ২৪টি আসন। পাঁচটি আসন পেতে পারে কংগ্রেস। আপ পেতে পারে ৬টি আসন। মণিপুরেও ক্ষমতায় ফিরতে পারে বিজেপি। সেরাজ্যে ৩২-৩৬ আসন পেতে পারে। কংগ্রেস পেতে পারে ১৮-২২টি আসন। আর কয়েকদিন পর থেকেই ভোট প্রচার শুরু করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক মহলের দাবি, শুক্রবারের এই নমুনা সমীক্ষাকে মাঠে নামার আগেই বিজেপিকে এগিয়ে রাখাল। তবে, এদিনের সমীক্ষা নিয়ে কোনও তাড়াহুড়ো চায় না কংগ্রেস। আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস নেতাদের দাবি, পাঞ্জাব এবারও কংগ্রেসকেই চাইছে।