সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ধোঁয়া উঠলে কোথাও তো আগুন লেগেছে।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ে প্রকাশ্যেই হতাশা ব্যক্ত করলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। আজ মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথগ্রহণের আগেই বাবুলকে দলের তরফে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইমতো ইস্তফা দিয়েও দেন তিনি। বাংলা থেকে আরেক প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকেও (Debasree Chaudhuri) ইস্তফা দিতে হয়েছে।
দলের নির্দেশে ইস্তফা দিলেও এই সিদ্ধান্তে যে তিনি খুশি নন, তা বাবুলের ফেসবুক পোস্টেই স্পষ্ট। যেখানে নিজের হতাশা প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি একপ্রকার ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন BJP নেতা। বাবুল বলেছেন,”ধোঁয়া উঠলে কোথাও তো আগুন লেগেছে। বন্ধু, অনুরাগী ও সংবাদমাধ্যমের কাছে জানাতে চাই, আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। আমি সেটা করেছি।” আসানসোলের সাংসদ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর গায়ে কোনও রকম দুর্নীতির আঁচড় না লাগায় তিনি যে খুশি সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন। তবে, সেই সঙ্গে হতাশাও গোপন করেননি। স্পষ্টই জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ পাওয়ায় তাঁর ‘মন খারাপ।’
[আরও পড়ুন: মোদির মন্ত্রিসভার রদবদলের আগেই পদত্যাগ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর, ইস্তফা বাবুলেরও]
রাজ্যে বিজেপি সেভাবে প্রভাব বিস্তার করার আগেই তিনি দলে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে আসানসোলের মতো কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতে আসেন তিনি। আবার ২০১৯ সালে একই কেন্দ্র থেকে পুনর্নির্বাচিত হন। বাবুল বরাবরই বঙ্গ বিজেপির এলিট নেতাদের মধ্যে পরিগণিত হন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে দলের নির্দেশে টালিগঞ্জের মতো কঠিন এবং ‘অচেনা’ আসনে লড়াই করেন তিনি। বস্তুত, দলের নির্দেশ বরাবরই মেনে চলেন সদ্যপ্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অথচ, পুরস্কার হিসেবে হয়তো খানিকটা বঞ্চনাই পেতে হল বাবুলকে। যা তাঁকে দুঃখ দিয়েছে।.সেকথা স্বীকারও করে নিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমার নিজের জন্য নিশ্চিতভাবেই খারাপ লাগছে। তবে নতুন মন্ত্রীদের জন্য খুশি। সবাই আরও শক্তিশালী হোক।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফার পর বাবুলকে দলের সাংঠনিক স্তরে কোনও পদ দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের দাবি।