শুভঙ্কর বসু: শুধুমাত্র ভবানীপুরেই কেন উপনির্বাচন (Bhabanipur By-Election) ঘোষণা করল কলকাতা হাই কোর্ট? নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। সাংবিধানিক সংকট তৈরি হওয়ার কথা উল্লেখ করে ভবানীপুরে উপনির্বাচন করা যেতে পারে বলেই জানান মুখ্যসচিব। শুক্রবারই হলফনামা জমার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট।
কোভিড (Covid 19) পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে উপনির্বাচন করা হোক, এমন দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল (TMC)। তারপর কমিশনকে চিঠি দেন মুখ্যসচিবও। এরপরই মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র জঙ্গিপুর, সামসেরগঞ্জে নির্বাচন এবং ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে কমিশন। শুধুমাত্র ভবানীপুরে কেন উপনির্বাচন হচ্ছে, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। সেই উপনির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: নেটদুনিয়ায় ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক মেসেজ ছড়ানোর অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
রাজ্যে একাধিক আসনে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র ভবানীপুর নিয়ে কেন চিঠি দিলেন মুখ্যসচিব? কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা কি মুখ্যসচিব ঠিক করতে পারেন? এই প্রশ্ন তোলেন মামলাকারী। ওই মামলার দ্রুত শুনানির আরজি জানান মামলাকারী। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল মামলাকারীর দ্রুত শুনানির আরজি খারিজ করে দেন। তিনি জানান, সাধারণ নির্বাচন এবং উপনির্বাচন এক নয়। এছাড়াও প্রশ্ন করেন, বিজ্ঞপ্তির এত পরে কেন মামলা? কেন আগে আসেননি?
বৃহস্পতিবার ফের কলকাতা হাই কোর্টে ভবানীপুর উপনির্বাচন মামলার শুনানি হয়। এদিনের শুনানিতেই নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা পেশের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। শুক্রবার ফের মামলার শুনানি। উল্লেখ্য, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএমের হয়ে লড়ছেন শ্রীজীব বিশ্বাস। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।