গোবিন্দ রায়: কলকাতা হাই কোর্টে নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অনুমতি পেলেন আরেক বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষও। জেলিয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের হালদারপাড়ায় যেতে পারবেন তাঁরা। আগের মতোই পুলিশের কাছে অঙ্গীকারপত্র জমা দিতে হবে দুজনকেই।
কলকাতা হাই কোর্টে এদিন রাজ্যের তরফে জানানো হয়, “গতবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মানেননি শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যেদিন সন্দেশখালি গিয়েছিলেন সেদিন ওখানে অনেক লোকের জমায়েত হয়েছিল। তার সঙ্গে বিজেপির স্থানীয় নেতারাও ছিলেন। পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশ করে কুমন্তব্য করেছেন। সে বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ করছি। একজন দ্বায়িত্বশীল ব্যক্তির জানা উচিত যে কি করা উচিত এবং কখন করা উচিত। পুলিশের উদ্দেশে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন। তিনি একজন IPS অফিসারকে ‘খলিস্তানি’ বলেছেন। আমরা FIR করতে চেয়ে মামলা করছি। ইতিমধ্যেই বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।” তবে রাজ্যের অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ করে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “রাজনৈতিক ব্যক্তিরা গেলে এলাকার মানুষ তো আসবেনই।” রাজ্যকে বিচারপতির প্রশ্ন, “যেখানে শুভেন্দু অধিকারী যেতে চান অর্থাৎ জেলিয়াখালির হালদারপাড়া সেখানে কোনও গণ্ডগোল হয়েছে কিনা রিপোর্ট থেকে দেখান।”
[আরও পড়ুন: চোদ্দোর ভোটে তৃণমূলের অ্যাকাউন্টে ‘গরমিল’! এবার অরূপ বিশ্বাসকে তলব ইডির]
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি। এর আগে দুবার সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েও পৌঁছতে পারেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১৪৪ ধারাকে হাতিয়ার করে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। জল গড়ায় আদালতে। আদালতের নির্দেশ মেনে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির পথে রওনা দিয়েও পুলিশি বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী, শংকর ঘোষেরা। ধামাখালিতে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। গত ২০ ফেব্রুয়ারি আদালত তাঁকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয় হাই কোর্ট।