গোবিন্দ রায়: সিঙ্গেল বেঞ্চের পর এবার ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা মাদ্রাসা বোর্ডের ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থী। মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করে দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীরর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চও মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, বহু আবেদনপত্রে শুধুমাত্র স্নাতকস্তরে অনার্সে ৫০ শতাংশ নম্বর উল্লেখ ছিল। উল্লেখ ছিল না পাস সাবজেক্টের নম্বর। আর তাই মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে ১২ হাজার জনের আবেদনপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এবং পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর স্পেশাল ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ‘ব্রাত্য’ প্রার্থীরা। শনিবার সেই মামলার শুনানিতে দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আবেদনকারীদের আর্জি খারিজ করে দিল আদালত।
[আরও পড়ুন: মোদি বারাণসীতেই, ভোট ঘোষণার আগেই ১৯৫ আসনের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ বিজেপির]
মাদ্রাসা বোর্ডের বক্তব্য ছিল, বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক স্তরে পাস এবং অনার্সে প্রাপ্ত মোট নম্বরের ৫০ শতাংশ চাওয়া হয়েছে। তাই যারা শুধুমাত্র অনার্সের নম্বর দিয়েছেন, পাশের প্রাপ্ত নম্বর উল্লেখ করেননি আবেদনপত্রে, তাঁদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। মামলাকারীদের আইনজীবীর পালটা বক্তব্য, অনার্স স্নাতকে অনার্সের নম্বরই গ্রহণযোগ্য। তাছাড়া বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি যে, যারা অনার্স স্নাতক তাদের পাস সাবজেক্টের প্রাপ্ত নম্বরও আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে হবে। তাই তাদের আলাদা করে অন্য দিনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু সেই যুক্তির গ্রাহ্য় হল না হাই কোর্টে।