শুভঙ্কর বসু: হাই কোর্টে পিছিয়ে গেল নন্দীগ্রাম মামলার (Nandigram Case) শুনানি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর। তবে তার আগে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে সবপক্ষকে লিখিত ‘মিনিট’ জমা দিতে হবে। যেখানে লেখা থাকবে, কোন পক্ষ কোন কোন বিষয়ে সওয়াল-জবাব করতে চাইছেন। এদিকে সোমবার নন্দীগ্রাম মামলার স্থানান্তর সংক্রান্ত শুনানি হয়নি সুপ্রিম কোর্টে।
একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর লড়াইয়ে সামান্য ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু। তারপরই গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) মামলা দায়ের করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভোটের ফলপ্রকাশের পর জুনে প্রথম হাই কোর্টে মামলাটি ওঠে। বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে মামলার শুনানিও হয়। তবে পরবর্তীতে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি কৌশিক চন্দ। মামলা স্থানান্তরিত হয় বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে। সেখানেও চলে শুনানি।
ইতিমধ্যে অবশ্য মামলার বেঞ্চ বদল হওয়ায় আপত্তি তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। সুবিচার নিয়ে অনাস্থা প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানে তাঁর আবেদন, কলকাতা হাই কোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলাটি অন্য রাজ্যে যে কোনও রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হোক। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি শম্পা সরকার তিনমাসের জন্য হাই কোর্টে শুনানি মুলতুবি রাখেন। সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ায় সোমবারই হাই কোর্টে ওঠে এই মামলা। এদিনই আবার সুপ্রিম কোর্টেও ছিল এই মামলার শুনানি।
কিন্তু এদিন শীর্ষ আদালতে বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন না। ফলে এদিন এই মামলার স্থানান্তর সংক্রান্ত শুনানি হয়নি। এদিকে হাই কোর্টে আরও কিছুটা সময় চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে আদালতে সওয়াল করছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি বিরোধী দলনেতার আরজির বিরোধিতা করেন। বলেন, “অনেকটা সময় হয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্টেও এই মামলা স্থানান্তর সংক্রান্ত কোনও শুনানি হয়নি। তাই হাই কোর্টে মূল আবেদনের শুনানি হতেই পারে। তাহলে কেন বারবার এত সময় দেওয়া হচ্ছে?” হাই কোর্টে এদিন মামলার শুনানি হয়। তাতে সিদ্ধান্ত হয় মামলার পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর।