শুভঙ্কর বসু: ভোটে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। মানিকতলা থানায় ওই অভিযোগে FIR করেছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। সেই FIR খারিজের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিঠুন। তাঁর সেই আবেদন এখনই মানা সম্ভব নয় বলেই শুক্রবার জানিয়ে দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তাঁর অন্তর্বর্তী নির্দেশ, আগামী এক সপ্তাহ তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে বিজেপির (BJP) তারকা সদস্যকে।
শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানি শুরু হয়। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি জানান, এখনই তৃণমূলের অভিযোগ খারিজের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর অন্তর্বর্তী নির্দেশ, আগামী সাতদিন মিঠুন চক্রবর্তীকে তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে সমস্তরকম সহযোগিতা করতে হবে। তদন্তের স্বার্থে ভারচুয়ালি মিঠুনের সঙ্গে অফিসাররা যোগাযোগ করবেন। এর জন্য বিজেপির তারকা সদস্যকে একটি ভ্যালিড মেল আইডি দিতে হবে। যাতে ভিডিও কলের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়। আগামী ১৮ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সেদিন এ বিষয়ে বিস্তারিত শোনার পর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তীর্থঙ্কর ঘোষ।
[আরও পড়ুন: সুশান্তের মৃত্যুর ১ বছর কাটলেই অভিনয়ে ফিরছেন রিয়া! দ্রৌপদীর চরিত্রে অভিনয় করবেন?]
মন্তব্য, পালটা মন্তব্যে সরগরম ছিল একুশের বিধানসভা ভোট (WB Election 2021)। প্রচারের মাইক হাতে পেয়ে অনেকেই সুর চড়িয়েছিলেন। ব্যতিক্রম ছিলেন না বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিঠুন চক্রবর্তীও। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় (Mukul Roy), শুভেন্দু অধিকারীদের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর রাজ্যের একাধিক জায়গায় প্রচার করেছেন। ব্রিগেডে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল, “আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি।” এই ধরনের মন্তব্যের জেরেই ৬ মে মানিকতলা থানায় মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে FIR করা হয়। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা অভিযোগ করেন, এই ধরনের বক্তব্য সন্ত্রাস এবং উত্তেজনায় প্ররোচনা দেয়। তাই অবিলম্বে বিজেপির তারকা সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এর বিরুদ্ধেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিঠুন। যার প্রথম শুনানি ছিল এদিন।