সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের অসহযোগিতায় রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করলেন হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। এই মামলায় অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু নিয়ে অবস্থান জানাতে তৃতীয়বারের জন্য সময় বেঁধে দিল উচ্চ আদালত। বলা হয়েছে আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে রাজ্যকে। নির্ধারিত দিনের মধ্যে রাজ্য যদি অবস্থান স্পষ্ট না করে সেক্ষেত্রে মুখ্যসচিবকে আদালত পর্যন্ত টেনে আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।
নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে রাজ্যের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু তিনবার সেই রিপোর্ট চেয়েও সদুত্তর মেলেনি। যার ফলেই তদন্তে এগোনো যাচ্ছে না বলে হাই কোর্টের দ্বারস্ত হয় সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, "লোকসভা নির্বাচনের পর এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাবে সরকার। এরপরই রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠাব? নির্বাচনের সঙ্গে বিচারের কী সম্পর্ক? পুলিশ কি FIR বন্ধ করেছে? তদন্ত বন্ধ আছে?" পাশাপাশি বিচারপতি বলেন, "মুখ্যসচিবের নিস্তব্ধতায় মনে প্রশ্ন উঠছে অভিযুক্তরা আসলে কতটা প্রভাবশালী। মুখ্যসচিবকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হয়ত তিনি কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের কাছে অপ্রিয় হবেন। কিন্তু তাঁর উপর অনেক বড় দায়িত্ব।"
[আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে কমিশন’, রাজভবন থেকে বেরিয়ে তোপ অভিষেকের]
এবিষয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্ত জানাতে ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার পর্যন্ত চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলা হয়েছে, নির্দেশ পালিত না হলে সশরীরে বিপি গোপালিককে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অশোককুমার সাহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ এবং শান্তিপ্রসাদ সিন্হা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন। গত বুধবার শুনানি চলাকালীন এ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারপতিরা। অভিযোগ উঠেছে, চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করা যাচ্ছে না রাজ্যের অসহযোগিতার জন্য। গত বুধবার এ বিষয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছিল উচ্চ আদালত। তখন রাজ্যের আইনজীবী জানান, নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন মুখ্যসচিব। দ্বিতীয় দফায় ৯ এপ্রিল রিপোর্ট তলব করে উচ্চ আদালত। এবারও রিপোর্ট না পেয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হল হাই কোর্টের তরফে।