shono
Advertisement

২১ জুলাইতেই কেন সভা? উলুবেড়িয়ার কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে আদালতের তোপের মুখে বিজেপি

২১ জুলাইয়ের সভা ভারচুয়াল করা নিয়ে চিকিৎসকের মামলা শুনানি শেষ, স্থগিত রায়দান।
Posted: 01:46 PM Jul 19, 2022Updated: 04:57 PM Jul 20, 2022

রাহুল রায়: ২১ জুলাই তৃণমূলের (TMC) শহিদ দিবসের পালটা সভা করার আইনি অনুমতি চেয়ে আদালতের তোপের মুখে পড়ল বিজেপি। ঠিক কেন ২১ জুলাইয়ের দিনই বিজেপির সভা করতে চাওয়া কেন? সরাসরি এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রাজ্য বিজেপিকে। দলের হয়ে আইনজীবী উত্তর দিলেও তা না-পসন্দ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতির। পালটা আরও কিছু প্রশ্নের মুখে কার্যত হিমশিম খেলেন বিজেপির আইনজীবী।

Advertisement

বিজেপি (BJP) নেত্রী নুপূর শর্মার (Nupur Sharma) পয়গম্বর বিতর্কের জেরে গত মাসে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ ওঠে। প্রতিবাদীরা বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করে। উলুবেড়িয়া, ডোমজুড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ভাঙচুর এবং বিজেপির দলীয় কার্যালয়েও হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। তারই বিরোধিতায় ২১ জুলাই ‘প্রতিবাদ দিবস’ পালনের ডাক দেয় পদ্মশিবির। ওইদিন বিকেল চারটেয় রাধানগর এলাকায় পালটা সভা করার কথা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ এই সভার অনুমতি না দেওয়ায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ধারাবাহিক হামলা, বিদেশমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি শুভেন্দুর]

মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য একাধিক প্রশ্ন করেন মামলাকারীর আইনজীবীকে। তাঁর প্রশ্ন, ২১ জুলাই কেন করতে হবে সভা? ওই দিনের কি কোনও বিশেষত্ব আছে? উত্তরে বিজেপির আইনজীবী জানান, অনেক আগে থেকেই এই কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের প্রচার করা হবে। বিচারপতি ফের প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন নিয়ে যেদিন ইচ্ছা প্রচার করা যেতে পারে। সপ্তাহের যে কোনও দিন। সেক্ষেত্রে ২২ বা ২৩ শে জুলাই করলে অসুবিধা কীসের? এরপর তাঁর আরও খোঁচা, ”এটা যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন হত, তাহলে বিষয়টা অন্যরকম হত।”

[আরও পড়ুন: উদ্বেগ বাড়িয়ে বেনজির পতন, প্রথমবার ৮০ টাকা ছুঁল ডলারের দাম]

এদিকে, ২১ জুলাই সমাবেশ ভারচুয়াল করা নিয়ে হাই কোর্টের একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন চিকিৎসক সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। ওইদিন সমাবেশে  প্রচুর মানুষের সমাগম হবে। সভায় যাতে করোনা বিধি কঠোরভাবে মানা হয়, সেই প্রশ্নে হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করেছিলেন চিকিৎসক। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। তারপর রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement