shono
Advertisement

মিটতে চলেছে মেডিক্যালের ওষুধ সমস্যা, বরাদ্দ পাঁচ কোটি টাকা

সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ৷
Posted: 02:16 PM Oct 06, 2018Updated: 02:16 PM Oct 06, 2018

স্টাফ রিপোর্টার: মিটতে চলেছে মেডিক্যালের ওষুধ সমস্যা৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে মেডিক্যালের ওষুধ কেনার জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ আগামী মঙ্গলবারের মধ্যেই সব ওষুধ চলে আসবে। এমনটাই জানিয়েছেন সুপার ডা. ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। ততদিন কাজ চালানোর জন্য স্থানীয়ভাবে দিন দশেকের ওষুধ কেনা হচ্ছে। আজকের মধ্যে তা হাসপাতালে পৌঁছবে৷  

Advertisement

[খাস কলকাতায় উদ্ধার ২৪০৭ কেজি গাঁজা, ধৃত দুই  ]

বুধবার সকালে মেডিক্যাল কলেজের এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের নিচতলায় ফার্মেসি স্টোর্সে আগুন লাগে। বিধ্বংসী চেহারাও নেয়। কিন্তু দমকল কর্মীদের তৎপরতায় তা বেশি দূর ছড়াতে পারেনি। সাবধানতার অঙ্গ হিসাবে ওই শতাব্দী প্রাচীন বিল্ডিংয়ে থাকা আড়াইশো রোগীকে সরানো হয়। বিকেলে ফিরিয়ে আনাও হয়। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় ওষুধ নিয়ে। ইন্ডোরে থাকা রোগীদের ওষুধ মজুত থাকলেও আউটডোরের  রোগীরা সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে মরফিনের অভাবে প্রবল সমস্যায় পড়েন ক্যানসার রোগীরা। কারণ, এই যন্ত্রণানাশক ওষুধ হাতে গোনা কয়েকটি ওষুধের দোকানে বিক্রি হয়।

[পুজোর মুখেই নিম্নচাপের খাঁড়া, আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’]

জানা গিয়েছে, স্থানীয়ভাবে ক্রয় করা ওষুধের তালিকায় মরফিন-সহ ক্যানসারের অনেক ড্রাগ রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, হাসপাতালের নবনির্মিত মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের সাততলায় অস্থায়ীভাবে তৈরি হচ্ছে ফার্মাসি। দমকলের ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ না পাওয়া পর্যন্ত ওখানেই মজুত থাকবে হাসপাতালের ওষুধ। অন্যদিকে, বিকেল পাঁচটার পর ইন্ডোর বা এমার্জেন্সিতে আসা রোগীদের ওষুধ লাগলে তা দেওয়া হবে এমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসারের ঘর লাগোয়া একটি কাউন্টার থেকে। এদিনও ওষুধ নিয়ে ভোগান্তির ছবি দেখা গিয়েছে নিউ আউটডোর বিল্ডিংয়ে। ওষুধ নেওয়ার লাইন এদিনও ছিল চোখে পড়ার মতো৷ জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের দিন কয়েকজন রোগী ডিওআরবি দিয়ে মেডিক্যাল থেকে  এনআরএসে চলে গিয়েছিলেন। সুপার জানিয়েছেন, এদিন তাঁরা সবাই মেডিক্যালে ফিরে এসেছেন। তাঁদের ভরতিও নেওয়া হয়েছে।

[কানাডায় চাকরি দেওয়ার নামে ৪০ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২ মহিলা]

অন্যদিকে, এদিন সেন্ট্রাল ফরেন্সিকের একটি টিম মেডিক্যালে যায়। তারাও নমুনা সংগ্রহ করে। আজ শনিবারও এই টিমের সদস্যরা আসেন হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রের খবর, স্টেট ফরেন্সিকের তরফে প্রাথমিকভাবে একটি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কমপিউটর থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনাই বেশি। তবে, আগুনের উৎস অন্য কিছুও হতে পারে। ল্যাবরেটরি রিপোর্ট হাতে না পেলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। পুলিশের তরফে এদিন ফার্মেসি বিভাগের বাইরে থাকা সাতটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ হাসপাতালের কাছে চাওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ফার্মেসিতে ডিউটিতে থাকা কর্মীদের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement