ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য ও অভিরূপ দাস: গুরুতর অসুস্থ কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের (Medical College Kolkata) অনশনরত এক পড়ুয়া। টানা চারদিন একটানা অনশন করায় আন্দোলনকারী ঋতম মুখোপাধ্যায়ের রক্তে একধাক্কায় শর্করার পরিমাণ অনেকটা কমে গিয়েছিল। তিনি মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের সিসিইউতে ভরতি। স্য়ালাইন চলছে। এদিকে অসুস্থ হলেও খাবার খেতে নারাজ ঋতম। তাঁর দাবি, “আমার বন্ধু, দাদা-ভাইরা এখনও আন্দোলন করছে তাই আমিও খাবার দাঁতে কাটব না।”
এদিকে আন্দোলনরত চিকিৎসক পড়ুয়াদের বোঝাতে মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে যান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পড়়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও আন্দোলন তুলতে নারাজ পড়ুয়ারা। আবার জট খুলতে স্বাস্থ্যভবনে মঙ্গলবার বৈঠকে দুপুর তিনটে থেকে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
২২ ডিসেম্বর ছাত্রভোটের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে অনশন করছেন ৫ পড়ুয়া। একটানা অনশনের জেরে স্বাভাবিকভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ঋতম মুখোপাধ্যায়ের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৪৬। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মেডিসিন বিভাগে ভরতি করে চিকিৎসা শুরু হয়। এদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে কনভেনশনের ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। আন্দোলনকারী পড়ুয়ারাও মঙ্গলবার নাগরিক মিছিলের ডাক দিয়েছেন। এদিকে আরও দুজন অনশনে যোগ দিলেন-সৌমিত দত্ত, শুভ সরকার। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর দুটোয় প্রতিবাদ মিছিল রয়েছে মেডিক্যাল কলেজে।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা শুভেন্দুর]
৫ দিনে পা দিয়েছে পড়ুয়াদের অনশন। নিজেদের দাবিতে অনড় তাঁরা। তবু পড়ুয়াদের বোঝাতে কসুর করছেন না মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও অধ্যাপকরা। এবার খোদ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে যান। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এমনকী, সুপারের ঘরে বৈঠক করেন মন্ত্রী। আন্দোলনকারীরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বৈঠকে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। ফলে এখনও আন্দোলন চলছে মেডিক্যাল কলেজে। এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীরা জানান, “নির্বাচনের কোনও দিনক্ষণ জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আন্দোলন তুলে নেওয়ার মতো কোনও প্রতিশ্রুতি মেলেনি। তাই আন্দোলন চলবে।”
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সোমবার দুপুর থেকে ঘেরাও করা হয়েছিল অধ্যক্ষ-সহ একাধিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের। মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা পরিষেবায় বিঘ্নিত হয়। এদিকে নিজেদের দাবিতে অনড় অন্দোলনকারীরা। টানা ৫ দিন ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।