সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার করাল গ্রাস থেকে এখনও পুরোপুরি মুক্তি পায়নি পৃথিবী। এর থাবায় বিপর্যস্ত বিশ্বের বহু দেশের মানুষের জীবনযাত্রা। বিশ্বের একটা বড় অংশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা একপ্রকার পুরোপুরি বদলে দিয়েছে এই মহামারী। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আমরা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছি যেখান থেকে করোনাকে (Coronavirus) হারানো সম্ভব। বহু দেশ বহু শহর সেটা করে দেখিয়েছে। এখন সময় পরবর্তী মহামারী মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হওয়ার। WHO বলছে, বিশ্ববাসীকে এখনই পরবর্তী মহামারীর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। যাতে পরবর্তী মহামারী এলে আমরা আরও ভালভাবে তার মোকাবিলা করতে পারি।
৭৩ তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশ থেকে WHO বার্তা দিচ্ছে,”করোনা সার্বিক সংকট। তবে বহু দেশ এবং শহর সফলভাবে এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। এবং রুখে দেওয়া গিয়েছে। এই প্রথমবার গোটা বিশ্ব একসঙ্গে করোনার ভ্যাকসিন, ওষুধ বা কোনও থেরাপি আবিষ্কারের চেষ্টা করছে।” এরপরই WHO কার্যত ঘোষণা করে দিয়েছে করোনাকে হারানো সম্ভব। তবে, সেটা সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে। একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিচ্ছে, “করোনা ভাইরাস (COVID-19) মহামারী আরও একবার মনে করিয়ে দিল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই শিক্ষা, অর্থনীতি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি।” গোটা বিশ্বের কাছে WHO একটি প্রস্তাব পেশ করেছে, যাতে বলা হচ্ছে, “গোটা বিশ্বের উচিত এখন থেকে করোনার মতো রোগের শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধের জন্য আরও বেশি করে প্রস্তুতি নেওয়া। পরবর্তী মহামারীর জন্য আমাদের আরও ভালভাবে প্রস্তুত হতে হবে।”
[আরও পড়ুন: করোনার পর আরও এক বিরল ভাইরাসের হানা, এবার ঘাঁটি কানাডা]
আসলে করোনা মোকাবিলায় বহু দেশের প্রস্তুতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে WHO’র ভূমিকা নিয়েও। তাই পরবর্তী ক্ষেত্রে যাতে তেমনটা না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উল্লেখ্য, করোনার আগে সোয়াইন ফ্লু, জিকা ভাইরাস, পোলিও সংক্রমণ এবং দু’বার ইবোলা সংক্রমণের সময়ে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল WHO। কিন্তু কোনওক্ষেত্রেই পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়নি। এবছর করোনার হানা এই সব মহামারীর মিলিত ক্ষতিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এখনও আশঙ্কায় প্রহর গুণছে বিশ্ববাসী। এর মধ্যে আবার WHO বলছে, আগামী মহামারী হবে আরও ভয়ংকর।