সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোজকার অফিসের ব্যস্ততা। সপ্তাহান্তে একদিনের ছুটিতে আর ঘর গুছোতে কারই বা মন চায়! অথচ পুজো তো আর বেশি দেরি নেই। আবার বাড়িতেও মানুষজনের আনাগোনা লেগে থাকে। দরজায় বেল বাজলেই মনে হয়, 'ঘরটা কী আগোছালো।' এই পরিস্থিতি থেকে চটজলদি নিস্তার পেতে অনেকেরই ভরসা আলমারি। তার বন্ধদ্বারেই সব একেবারে লুকিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
ছবি: সংগৃহীত
লুকিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু গোছানো হয়ে ওঠে ওঠে না কিছুতেই। টপ আছে তো জিনস নেই, জিনস আছে তো কানের দুলটা পাওয়া যাচ্ছে না, আরে হেডফোনটা কোথায় গেল? এমন অবস্থা অনেকেরই হয়। আগোছালো আলমারি সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মত, আপনার বা আপনার কাছের কোনও মানুষের আলমারি যদি অগোছালো অবস্থায় থাকে, তবে তিনি হয় তো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বউয়ের ন্যাওটা! একাধিক শপিং ব্যাগ হাতে অনুষ্কার পিছু পিছু বিরাট, ভাইরাল ভিডিও]
কারও কারও আবার আলমারিতে পুরনো জামা-কাপড় জমিয়ে রাখার অভ্যাস রয়েছে। মনোবিদদের দাবি, যাঁরা পুরনো পোশাক আলমারিতে পোশাক জমিয়ে রাখেন, তাঁরা নস্ট্যালজিক হন। তাঁরা ওই পোশাকের কথা ভেবেই স্মৃতি রোমন্থন করতে ভালোবাসেন বলেও দাবি মনোবিদদের।
ছবি: সংগৃহীত
মনোবিদদের মনে করেন। যদি কোনও ব্যক্তির মন খারাপ হয় বা তিনি অবসাদে ভোগেন, তাহলে তাঁকে আলমারি গোছানোর কাজ দেওয়া উচিত। এই রুটিনে মনের অবসাদ কমে। আবার চিন্তাভাবনাগুলোও কম থাকে। কারণ মন তখন একটা নির্দিষ্ট কাজে ব্যস্ত থাকে। যে মানুষ যত ভালো আলমারি গোছাতে পারেন, তিনি নাকি তত বেশি সৎ। এমনটাও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আলমারি গোছানোর ইচ্ছে অনেকের মনেই আছে। কিন্তু কাজে করে উঠতে পারে না। এমন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মাসে বা সপ্তাহে একটা ছুটির দিন অন্তত আলমারি গোছানোর জন্য রাখুন। এতে সময়ও বাঁচবে, আবার মনও ভালো থাকবে।