সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাগাড়কাণ্ডের পর এবার বাঙালির পাতে মাংস ফেরাতে উদ্যোগ নিল প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর৷ আর সেই লক্ষ্যে এবার আউটলেটে মাংস বিক্রির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করল রাজ্য৷ প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে খবর, এবার আউটলেটে মাংস বিক্রি করতে গেলে ক্রেতাকে দেখাতে হবে ভিডিও৷ যে পশুর মাংস বিক্রি করা হবে, তা খামার থেকে মাংস কাটা পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ড করে রাখতে হবে বলেও জানানো হয়েছে৷ ভিডিও দেখে সন্তুষ্ট হওয়ার পর আউটলেট কর্তৃপক্ষ ওই মাংস বিক্রি করবে বলে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে৷
[পাড়ার মহিলাদের অশ্লীল ছবি তোলাই শখ, জানাজানি হতেই পলাতক যুবক]
ভাগাড়কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বাঙালির হেঁসেল থেকে বিদায় নিয়েছে মাংস৷ ছুটির দিনে পাঠা কিংবা চিকেনের পরিবর্তে আম বাঙালির পাতে উঠেছে হরেক পদের মাছ৷ ফলে, মাংস ব্যবসায় গত দু’মাসে কয়েক কোটি টাকার লোকসানের মুখেও পড়তে হয়েছে রাজ্যকে৷ এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মাংসের শিল্পকে চাঙ্গা করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷
[পরিত্যক্ত কৌটোকে ঘিরে রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনে বোমাতঙ্ক]
ভাগাড় কাণ্ডের ঘটনা জানাজানির পরই রাজ্যের মানুষ মাংস ছেড়ে মাছের দিকে ঝুঁকছিলেন। আর সেই সুযোগে বাজারে রীতিমতো দাম চড়েছে মাছেরও। প্রমাণ সাইজের কাটা রুই, কাতলা মিলছে প্রায় ৩০০ টাকার কাছাকাছি দামে। আস্ত মাছ হলে দামটা কিছুটা কম। দাম চড়েছে পাবদা, ট্যাংরা, ভেটকিরও। এক কেজি থেকে দেড় কেজির ইলিশের দাম ঘোরাফেরা করছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকার মধ্যে। এদিকে পচা মাংসের কারবার সামনে আসতেই রেকর্ড ব্যবসা করেছে রাজ্যের মৎস্য উন্নয়ন নিগমও। দেশি রুই, কাতলা থেকে শুরু করে বিদেশি কোবিয়া, সিলভার পমপিনো। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছের চাহিদা। নিগমের তরফে জানানো হয়েছে, আগে নিজস্ব স্টল, গাড়ি এবং অ্যাপ বুকিংয়ের মাধ্যমে খুচরো বাজারে প্রতিদিন প্রায় ছ’শো থেকে সাড়ে ছ’শো কেজি কাঁচা মাছ বিক্রি করত সংস্থা। এখন প্রতিদিন ন’শো থেকে সাড়ে ন’শো কেজি করে মাছ বেচছে নিগম। ফলে, এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে এবার মাংসে আস্থা ফেরাতে ভিডিও রেকর্ডিং ব্যবস্থা আনতে চলেছে রাজ্য সরকার৷
The post মাংসে আস্থা ফেরাতে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা আনতে চলেছে রাজ্য appeared first on Sangbad Pratidin.