সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিজ্ঞতা থাকুক বা না থাকুক, ইন্টারভিউ মানেই এক অন্যরকম অনুভূতি। খানিকটা ভয় যে গ্রাস করে, তা বলাই বাহুল্য। নিজের বুদ্ধিমত্তা, অ্য়াপ্রোচে যিনি ইন্টারভিউ নেবেন তাকে ইমপ্রেস করতে পারব তো? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় কমবেশি সকলের মনেই। তাই এই ক্ষেত্রে মাথায় রাখুন এই ৭ উপায়। যা আপনাকে পাশ করতে সাহায্য করবেই।
১. তাড়াহুড়ো করবেন না- মাথায় রাখবেন তাড়াহুড়োর কিছু নেই। উল্টোদিক থেকে প্রশ্ন এলেই উত্তর দিতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। আগে ভালো করে শুনুন কী বলা হচ্ছে। প্রয়োজনে সামান্য সময় নিন, তারপর উত্তর দিন। এতে আপনি কী বলবেন তা ঠিক করতে পারবেন, অর্থাৎ নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারবেন।
২. কিছু গোপন করার চেষ্টা করবেন না- ধরুন এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন যার উত্তর আপনার কাছে নেই, সোজা না বলুন। আপনাকে সব কিছু জানতেই হবে, এমন কোনও মানে নেই। আপনার অ্যাপ্রোচই এক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
৩. চাকরি জীবনে ছেদ আছে? সাফ জানান- অনেক সময়ই চাকরি পরিবর্তন করতে গিয়ে বা পেশা বদল করতে গিয়ে চাকরি জীবনে ছেদ পড়ে। তা নিয়ে ইতস্তত বোধ করার কিছু নেই। সরাসরি সত্যিটা জানান।
৪. অতিরিক্ত আগে যাবেন না, দেরিও করবেন না- নির্ধারিত সময়ের বেশি আগে পৌঁছে যাবেন না। আবার দেরি করাও কখনও কাম্য নয়। তাই চেষ্টা করবেন নির্দিষ্ট সময়ে মিনিট দশেক আগে পৌঁছনোর।
৫. সংস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা- যে কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন, সেখানকার বেসিক কিছু তথ্য জানাটা আবশ্যক। তাতে যারা ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকবেন তাঁরা ইমপ্রেস হবেন।
৬. অনলাইন ইন্টারভিউতেও নজর রাখুন বডি ল্যাঙ্গুয়েজে- এখন বহু ইন্টারভিউ হয় অনলাইন অর্থাৎ জুম বা গুগল মিটে। সেক্ষেত্রেও বডি ল্যাঙ্গুয়েজে নজর দিন। সোজা হয়ে বসুন। হাতগুলো যেন দেখা যায়। ক্যামেরায় চোখ রেখে কথা বলুন। অতিরিক্ত কিছু করবেন না তবে বোঝানোর চেষ্টা করুন যেন আপনি যারা ইন্টারভিউ নিচ্ছেন তাঁদের মুখোমুখি বসে রয়েছেন।
৭. কিছু জানার থাকলে প্রশ্ন করুন- তড়িঘড়ি মিটিং শেষ করতে কোনও প্রশ্ন নেই বলে জানাবেন না। আগে ভাবুন কিছু জানার আছে কিনা। থাকলে সরাসরি প্রশ্ন করুন। নিয়োগের পরবর্তী কী নিয়ম কানুন রয়েছে, তাও জিজ্ঞেস করতে পারেন।
