সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে অনেকেই। উচ্চমাধ্যমিকের পর প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফল হয়ে সেই স্বপ্নপূরণ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। তবে সর্বভারতীয় NEET-তে সুযোগ পাওয়া খুব একটা সহজ নয়। তার জন্য নির্দিষ্ট প্রস্তুতি দরকার। বেশি পড়াশোনার চাইতেও দরকার পরিকল্পনামাফিক গুরুত্ব বুঝে পড়া এবং লাগাতার অনুশীলন। ডাক্তারি পড়ার জন্য বায়োলজির পাশাপাশি ফিজিক্সে পাকাপোক্ত হওয়াও অত্যন্ত জরুরি। ফিজিক্সের কিছু কিছু অধ্যায় ছোট, তথাকথিত কম গুরুত্বপূর্ণ মনে হলেও তা কিন্তু NEET-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিবেদনে রইল তারই হদিশ।
জরুরি চ্যাপ্টার
ডাক্তারির প্রবেশিকা নিট (NEET)-এর বাকি আর ১০ দিন। শেষ কদিন অবশ্যই ঝালিয়ে নাও ছোট চ্যাপ্টারগুলিও। ইউনিট অ্যান্ড মেজারমেন্ট, গতিবিদ্যা, গ্যাসের গতি তত্ত্ব, তাপগতিবিদ্যা, পরমাণু, নিউক্লিয়াস, ডুয়েল নেচার অ্যান্ড সেমিকন্ডাক্টর-এর মতো ছোট চ্যাপ্টারগুলি এবার ইম্পর্ট্যান্ট।
[আরও পড়ুন: আচমকাই অসুস্থ কাঞ্চনের স্ত্রী শ্রীময়ী, ভর্তি হাসপাতালে]
টাইম ম্যানেজমেন্ট
- যেহেতু মোট নম্বর ৭২০, প্রশ্নসংখ্যা ২০০ এবং নেগেটিভ মার্কিং (Negative marking) আছে তাই উত্তর লিখতে হবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
- প্রথমে ৫০টি প্রশ্নের মধ্যে থেকে ৩০-৩৫টি প্রশ্ন বেছে নাও। তার পর চেষ্টা করো সেখান থেকে ৩০ মিনিটে ৩০টি প্রশ্ন সমাধান করতে। বাকিগুলি হাতে একটু সময় নিয়ে করো। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
- সব উত্তর লিখতেই হবে, এমন মানসিকতা থেকে সরে এসো।
- ফিজিক্সের (Physics) প্রশ্ন কঠিন হবে, এই ধারণা নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকবে না।
- ফিজিক্সের জন্য ৬০ মিনিট এবং কেমিস্ট্রি (Chemistry) ও বায়োলজির (Biology) জন্য যথাক্রমে ৪০-৪৫ মিনিট করে সময় রাখতে হবে।
- মূল প্রশ্ন থেকে প্রাপ্ত ডেটাকে আন্ডারলাইন করে নাও। এতে ভুল হওয়ার প্রবণতা কমবে।
পরীক্ষার চাপ সামলানো জরুরি
প্রস্তুতি তেমন ভালো হয়নি বলে মাঝেমাঝে মনে হতেই পারে। কিন্তু তুমি যে প্রস্তুতি নিয়েছ তার প্রতি বিশ্বাস রাখাটাও জরুরি। শেষের এই কদিন দুপুর দুটো থেকে বিকাল ৫:২০ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ পরীক্ষার প্রকৃত সময় ধরে প্রতিদিন নিটের প্যাটার্ন অনুযায়ী মক টেস্ট (Mock Test) প্র্যাকটিস করতে হবে। এতে একদিকে যেমন উদ্বেগ কমবে, তেমনই বাড়বে আত্মবিশ্বাসও।