সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাস্তাঘাটে বিভিন্ন জায়গাতেই নজরে আসেন ভিক্ষুকরা। অনেকেই তাঁদের টাকা দিয়ে সাহায্য করেন। কিন্তু এবার থেকে আর নয়। কোনওভাবেই সাহায্য করা যাবে না ভিক্ষুকদের। তাঁদের টাকা দিলেই নেমে আসবে শাস্তির খাঁড়া। কড়া পদক্ষেপ হিসাবে দায়ের হবে এফআইআর। নতুন বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এমনই নিয়ম চালু হচ্ছে।
ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর। জানা গিয়েছে, ভিক্ষা দেওয়া নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোরের প্রশাসন। তাদের লক্ষ্য নতুন বছরে ভিক্ষুকমুক্ত রাস্তা করার। আজ সোমবার সেখানকার ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর আশিস সিং সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, "আমাদের উদ্দেশ্য ভিক্ষাবৃত্তিমুক্ত ইন্দোরের। এনিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার ডিসেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে। এরপর যদি কোনও ব্যক্তিকে ১ জানুয়ারি থেকে ভিক্ষা দিতে দেখা যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হবে।"
ইন্দোর প্রশাসন সূত্রে খবর, অনেকদিন শহরের ভিক্ষুকদের নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই রিপোর্টেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে আসে। দেখা যায়, অনেক ভিক্ষুকদের পাকা বাড়ি রয়েছে। অনেকের ছেলেমেয়েরা ভালো চকারিও করেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আলোচনা শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে ইন্দোরে ভিক্ষা নিষিদ্ধ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এনিয়ে মধ্যপ্রদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নারায়ণ সিং কুশওয়াহা জানান, ইন্দোরের এক বেসরকারি সংস্থা এই কর্মসূচিতে সাহায্য করছে। তারা ভিক্ষুকদের ছমাসের জন্য আশ্রয় দেবে এবং উপযুক্ত কাজ খুঁজতে সাহায্য করবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই কেন্দ্র বড় পদক্ষেপ করেছিল। ‘ভিক্ষাবৃত্তিমুক্ত ভারত’। আর তারই প্রথম ধাপ হিসাবে দেশের ৩০টি শহরকে চিহ্নিত করেছিল মোদি সরকার। টার্গেট–২০২৬ সালের মধ্যে এই শহরগুলোকে ‘ভিক্ষুকমুক্ত’করা। বিশেষ করে মহিলা এবং শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তি থেকে নিবৃত্ত করা। কেন্দ্রের ওই শহরের তালিকায় নাম ছিল- অযোধ্যা, কাংড়া, ওমকারেশ্বর, উজ্জয়িনী, সোমনাথ, পাভাগড়, ত্র্যম্বকেশ্বর, বোধগয়া, গুয়াহাটি ও মাদুরাই, বিজয়ওয়াড়া, কেভাদিয়া, শ্রীনগর, নামসাই, কুশিনগর, সাঁচি, খাজুরাহো, জয়সলমের, তিরুবনন্তপুরম, পুদুচেরি, অমৃতসর, উদয়পুর, কটক, ইন্দোর, সিমলা ও তেজপুরের।